লক্ষ্যটা ছিলো ৩২২ রানের, জিততে হলে গড়তে হবে রেকর্ড। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৩২২ রানের বেশি ম্যাচ তাড়া করে জেতার নজির ছিলো মাত্র একটি। তাও ৮ বছর আগে, ২০১১ সালের বিশ্বকাপে। তাই কাজটা ছিলো অনেক কঠিন।
Advertisement
শুধু বিশ্বকাপ বলা কেন, নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসেই এত বেশি রান তাড়া করে আগে জেতেনি বাংলাদেশ দল। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৮ রান তাড়া করে জয়ের ম্যাচটিই বাংলাদেশের পক্ষে সেরা। ফলে ক্যারিবীয়দের করা ৩২১ রানের সংগ্রহ তাড়া করে জিততে হলে গড়তে হতো ইতিহাস।
সেই ইতিহাস ঠিকই গড়েছে বাংলাদেশ। আর তা সম্ভব হয়েছে সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে। বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পর তিনি ব্যাট হাতে খেলেছেন ৯৯ বলে ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে মাত্র ৬৯ বলে ৯৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন লিটন দাসও।
বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে অবধারিতভাবেই সাকিব জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরষ্কার। ম্যাচশেষে নিজের পুরষ্কার গ্রহণ করতে এসে সাকিবের কণ্ঠে ঝরেছে ম্যাচ শেষ করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়তে পারার সন্তুষ্টি।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘এটা অসাধারণ অনুভূতি। উইকেটে থেকে ম্যাচ শেষ করে আসাটা অনেক বেশি সন্তুষ্টির। আমি তিন নম্বরে ব্যাটিং করা নিয়ে অনেক কাজ করেছি। ভালো লাগছে যে তা মাঠেও দেখাতে পারছি। আমি জানি যে, তিন নম্বরে ব্যাট করলে আমি আরও অনেক বেশি সুযোগ পাবো, লম্বা সময় ব্যাট করার সময় পাবো।’
ব্যাট হাতে ৩৮৪ রান ও বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে চলতি বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা পারফরমার সাকিব আল হাসান। তবু তিনি মনে করছেন এখনও সম্ভব আরও ভালো করা। সে লক্ষ্যেই এগুচ্ছেন তিনি।
সাকিবের ভাষ্যে, ‘আগে দেখা যেত, পাঁচ নম্বরে ব্যাট করলে আমাকে ব্যাটিংয়ে নামতে হতো ৩০ বা ৪০ ওভার পরে। যেটা আমার জন্য আদর্শ জায়গা নয়। এছাড়া আমি আমার বোলিং নিয়েও কাজ করছি। এ মুহূর্তে আমি বলবো আমার পারফরম্যান্স ঠিক আছে, তবে আরও ভালো করা সম্ভব।’
এসময় মাঠে উপস্থিত প্রবাসী বাঙালি সমর্থকদের ব্যাপারে সাকিব বলেন, ‘পুরো বিশ্বকাপজুড়েই সমর্থকরা দুর্দান্ত। তারা মাঠে এসে আমাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। আশা করি তারা সামনের ম্যাচগুলোতেও মাঠে এসে আমাদের সমর্থন দিয়ে যাবে।’
Advertisement
এসএএস