জনগণের মাঝে কর দেয়ার আস্থা ও আগ্রহ জাগাতে হবে বলে উল্লেখ করেছে বেসরকারি সংস্থা ইকুইটি বিডি। পাশাপাশি করের আওতা বাড়ালেই কর আদায় করা সম্ভব হয় না উল্লেখ করে জনগণের মধ্যে কর প্রদানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা জাগ্রত করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
Advertisement
সোমবার (১৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ পরামর্শ দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইকুইটিবিডির চিফ মডারেটর রেজাউল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম, ইকুইটিবিডির সদস্য আহসানুল করিম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির অবস্থান তুলে ধরে আয়োজকরা বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে সরকার, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। রাজস্ব আদায়ের কৌশল হিসেবে নতুন বাজেটে করের আওতা বিশেষ করে ভ্যাটের হার ও এর আওতা বাড়ানো হবে এবং উপজেলা পর্যায়ে লোক নিয়োগ করা হবে। প্রশ্ন হচ্ছে করের আওতা বাড়ালে কি কর আদায় সম্ভব হয়? সুতরাং সরকারকে কর আদায়ে কৌশলী হতে হবে। জনগণের মধ্যে কর প্রদানের রাজনৈতিক সদিচ্ছা জাগ্রত করতে হবে এবং কর ন্যায্যতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
Advertisement
বক্তারা বলেন, বিশেষ করে খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা,পানি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সেবায় বরাদ্দ বাড়িয়ে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ঘটাতে হবে। শুধু বরাদ্দ বাড়িয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয়। তাই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। জনগণ যখন দেখবে তার কষ্টার্জিত অর্থের কর সরকার যথাযথভাবে খরচ করছে, দুর্নীতি হচ্ছে না, অর্থ পাচার হচ্ছে না, আইনের শাসন হচ্ছে, তখন জনগণের মাঝে কর প্রদানের আস্থা ও আগ্রহ জাগ্রত হবে।
তারা আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন সেক্টর ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, সিটিজেন চার্টার, আচরণ বিধিমালা, তথ্য প্রকাশ নীতিমালাসহ বিভিন্ন তালিকা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে একজন নাগরিক সেবা পাওয়ার জন্য কোনো প্রকার হয়রানি, ঘুষ প্রদান বা অন্য কোনো বাধার সম্মুখিন হলে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে। সে জন্য দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।
এএস/এনডিএস/জেআইএম
Advertisement