বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ (স্টক ডিভিডেন্ড) অনুমোদন দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক। সোমবার রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে রূপালী ব্যাংকের ৩৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ লভ্যাংশ অনুমোদন করেন ব্যাংকটির শেয়ার হোল্ডাররা।
Advertisement
বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের উন্নয়নে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে চলেছে রূপালী ব্যাংক। সরকারের সব উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে রূপালী ব্যাংকের সার্বিক সমর্থন অব্যাহত থাকবে।’
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মো. আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে যে বিষয়গুলো পরিপালন করতে বলা হলো তা সবগুলোই পরিপালনযোগ্য এবং আমরা এগুলো পরিপালন করার জন্য সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকব। ২০১৬ সালে যখন আমরা দায়িত্ব নেই, তখন এটি ছিল একটি লোকসানি ব্যাংক। তখন ব্যাংকের লোকসান ছিল ১০০ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে এসে ব্যাংকের মুনাফা হয় ৫৩৭ কোটি টাকা। আর ২০১৮ সালেও এ মুনাফার ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে সরকার, রেগুলেটরি বডি, পরিচালনা পর্ষদ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অব্যাহত সমর্থনের ফলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকের মধ্যে রূপালী ব্যাংক সবচেয়ে ছোট হলেও গ্রাহক সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংকটির ২ কোটির উপরে গ্রাহক রয়েছে। রূপালী ব্যাংক এককভাবে ১২০ মিলিয়ন ডলার এফডিআই (প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ) দেশে এনেছে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ।’
Advertisement
সভায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবিএম রুহুল আজাদ বলেন, ‘ব্যাংকের ধারণা এখন আর আগের মতো নেই। শুধু টাকা জমা দেয়া-নেয়া ও মুনাফা করা নয়, ব্যাংকের সেবা এখন অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিদিন সকালে যখন আমরা পত্রিকা পড়ি তখন দেখতে পাই পত্রিকার একটা বড় অংশজুড়ে আর্থিক খাত ও শেয়ার বাজারের সংবাদ। আর এসব সংবাদের মধ্যে ইতিবাচক সংবাদ খুব কমই থাকে যদিও ব্যাংকগুলো অনেক ইতিবাচক কাজ করে। পত্রিকায় যেসব সংবাদ আসে সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে আমরা আরও ভালো কাজ করতে চাই। ব্যাংকিং সেক্টরের মধ্যে রূপালী ব্যাংকের অনেক সাফল্য রয়েছে।’
এজিএমে আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের পরিচালক অরিজিৎ চৌধুরী, আবু সুফিয়ান, একেএম দেলোয়ার হোসেন এফসিএমএ, দীনা আহসান, মো. খলিলুর রহমান, মো. রিজওয়ানুল হুদা, মো. আবদুল বাছেত খান ও ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোরশেদ আলম খন্দকার, বেলায়েত হোসেন, মহাব্যবস্থাপকরাসহ শেয়ার হোল্ডারা।
১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় রূপালী ব্যাংক। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৯১ শতাংশ শেয়ার সরকারের হাতে রয়েছে।
এসআই/এনডিএস/এমএস
Advertisement