জাপানে গত পাঁচ বছরে রফতানি দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতি বছর এ রফতানি বেড়েই চলছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে জাপানে বাংলাদেশের রফতানি দুই বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াটানাবে-এর সঙ্গে মত বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন ।মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের বড় ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। বর্তমানে বাংলাদেশে জাপানের ২৩০টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে স্পেশাল ইকনোমিক জোনে জাপানকে জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে। এতে করে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ অনেক বৃদ্ধি পাবে। জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে খুবই আগ্রহী। আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি পাবে।তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাপান যুদ্ধবিদ্ধস্থ বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে সহযোগিতার দিক থেকে একক দেশ হিসেবে জাপান সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। জাপানিদের কাছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, চিংড়ি মাছ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য বেশ প্রিয়। জাপান সরকার বাংলাদেশকে হ্যান্ড গ্লোভস ও অস্ত্র বাদে সকল রফতানি পণ্যের জন্য ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদান করছে। এ কারণে জাপানের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বেড়েই চলছে। জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াটানাবে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। স্পেশাল ইকনোমিক জোনে জাপান আরো বেশি বিনিয়োগ করবে। জাপানের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার , চামড়ার চাহিদা অনেক। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, গত ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৪৩৪.১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, একই সময়ে আমদানি ছিল ১৩০৮.৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে জাপানে রফতানি বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯১৫.২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, পক্ষান্তরে জাপান থেকে আমদাননি হয়েছে ১৫১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ সময়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ৫৯৮.৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসএ/এআরএস/আরআইপি
Advertisement