খেলাধুলা

টনটনেও ঢল নেমেছে বাংলাদেশি সমর্থকদের

ব্রিস্টল থেকে টনটন মাত্র এক ঘণ্টার পথ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্রিস্টলে ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের। প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি সেখানে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশের খেলা দেখবেন, এই পরিকল্পনাও তৈরি করা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি সব পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিলো। বৃষ্টিতে টসই হলো না ব্রিস্টলে। বাংলাদেশকে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিতে হলো।

Advertisement

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি টনটনের সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। এক ঘণ্টা পথ পাড়ি দিয়ে টনটনে খেলা দেখতে আসা মামুলি বিষয়। ব্রিস্টলে খেলা দেখতে চাওয়া বাংলাদেশি সমর্থকরা তো বটেই, টনটনে আজ উপস্থিত হয়ে গেছেন ইংল্যান্ডের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশিরাও।

স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় খেলা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। অথচ প্রবাসী বাংলাদেশিরা কি আর বসে থাকতে পারে? দলে দলে তারা হাজির হয়ে গেছে টনটনের সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।

সকাল সাড়ে ৭টায় খোলা হয় স্টেডিয়ামের গেট। বাংলাদেশর সমর্থকরা ৮ টা থেকেই প্রবেশ পথে লাইন দিতে শুরু করে। স্টেডিয়ামের আশপাশ দেখলে মনে হবে, ভুল করে আপনি হয়তো মিরপুর কিংবা চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আশপাশে উপস্থিত হয়ে গেছেন।

Advertisement

হাজার হাজার বাংলাদেশির ঢল নেমেছে টনটনে। অধিকাংশের গায়েই বাংলাদেশের জার্সি। মাথায় টাইগারদের ক্যাপ। কারও কারও মাথায় পতাকার আদলে তৈরি হেড ব্যান্ড কিংবা পুরোপুরি পতাকাই বাধা। কারো হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন। কেউ কেউ বাঘের রেপ্লিকা হাতেও উপস্থিত হয়েছেন টনটনের সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ওই ম্যাচে জয়ই প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের সমর্থকদের মাঝে। শুধু তাই নয়, পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একেবারে ক্লোজ ম্যাচে হারের কারণেও অন্য ম্যাচগুলোতে প্রত্যাশার মাত্রা বেশিই। ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারলেও সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরি বাংলাদেশের সমর্থকদের মাঝে প্রত্যাশা সঞ্চার করেছে বেশি।

পরের ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছিল। বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটিতে জয়ের প্রত্যাশাই করছেন বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকরা। সেই জয় স্বচক্ষে দেখতেই টনটনে এভাবে হাজার হাজার বাংলাদেশি সমর্থকদের আগমণ।

এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম

Advertisement