ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১৯ জুন বিকেলে দিল্লিতে সব দলের সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানার্জিও যেন উপস্থিত থাকেন এমনটাই চান তিনি।
Advertisement
এ উদ্দেশে ভারতের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী গতকালই (১৬ জুন) ওই বৈঠক যোগ দেয়ার জন্য মমতাকে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে মমতা সেই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাবেন কি-না, রোববার রাত পর্যন্ত তা জানা যায়নি।
এদিকে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের পর নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে আজ (১৭ জুন)। তার আগে দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রোববার (১৬ জুন)। বৈঠকে মমতার পক্ষে সংসদে তৃণমূলের উভয় কক্ষের দুই নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মর্যাদা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় ‘হস্তক্ষেপ’ বন্ধ করার দাবি জানান। বলেন, কোনো রাজ্যকে যেন ‘নিশানা’ করা না হয়।
এ সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী প্রমুখ উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি পরে এসে বৈঠকে যোগ দেন। এ কারণে বৈঠক শেষ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী গাড়িতে ওঠা পর্যন্ত তার সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে নিজেদের দাবির কথা জানান তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সময় মোদি তাকে বলেন, ১৯ জুন সব দলের প্রধানদের নিয়ে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে সেখানে এই প্রসঙ্গে কথা হতে পারে
Advertisement
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক শীর্ষ স্থানীয় নেতা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে যা বলার রোববারের বৈঠকে তা বলেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা ব্যানার্জি ১৯ তারিখের বৈঠকে যাবেন কি-না, তা তিনিই ঠিক করবেন। এই সপ্তাহে তার পূর্বনির্ধারিত কিছু কর্মসূচি আছে।
জানা গেছে নরেন্দ্র মোদির ডাকা বুধবারের বৈঠকে পাঁচটি বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে চিঠিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় স্তরে প্রাসঙ্গিক- এমন যে কোনো বিষয় যে কোনো দলের নেতা উত্থাপন করতে পারেন।
এমএমজেড/পিআর
Advertisement