নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দনশীল।
Advertisement
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ার আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলায় ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে ২৪ ঘণ্টার এ আলটিমেটাম দেন তিনি। ওই বোমা হামলায় দুই পা হারিয়েছেন চন্দনশীল।
রোববার সকালে বোমা হামলার ১৮তম বছরে নিহতদের পরিবারের আয়োজনে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে নাম ফলক সংবলিত স্মৃতিস্তম্ভে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনকালে এ আলটিমেটাম দেন চন্দনশীল।
চন্দনশীল বলেন, বোমা হামলায় নিহতদের নাম ফলকের পাশে ময়লার ডাস্টবিন রাখায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের অযত্ম আর অবহেলায় এই নাম ফলকটির চারপাশে সবসময় ময়লা জমে থাকে। যত ময়লা আছে সব এখানে ফেলা হয়। এ নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের কোনো উদ্যোগ নেই। এজন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে ময়লার ডাস্টবিন সরাতে হবে। আমরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলাম। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেব।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, এই বোমা হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তারা আওয়ামী লীগের জন্য নিহত হয়েছেন। ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী আওয়ামী লীগের মেয়র হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এখানে শহীদ মিনার স্থাপন করেছেন। আমরা একবারও বলিনি আমাদের শহীদদের সম্মান করেন। সম্মান করার প্রয়োজন নেই, কিন্তু তাদের নাম এখানে বসিয়ে অসম্মান করবেন না। এই অধিকার কারও নেই।
২০০১ সালের ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ার আওয়ামী লীগ অফিসে দেশের ভয়াবহ নৃশংস বোমা হামলার ঘটনায় মারা যান ২০ জন। সেদিন আহত হয়েছিলেন ওই সময়ের ও বর্তমান এমপি শামীম ওসমানসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। অনেকেই বরণ করে নিয়েছেন পঙ্গুত্ব, কেঁদে উঠেছিল নারায়ণগঞ্জবাসী। দীর্ঘ ১৮ বছরেও এ মামলার বিচার শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে নিহতের পরিবার ও আহতদের।
২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে ১৬ জুন চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। রাতে পৌনে ৮টার দিকে তখনকার এমপি শামীম ওসমান যখন সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ঠিক তখন বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় আওয়ামী লীগের ২০ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান।
মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/জেআইএম
Advertisement