অর্থনীতি

আরও ২ শতাংশ প্রণোদনা চান পোশাক মালিকরা

আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক রফতানিতে এক শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর সঙ্গে আরও দুই শতাংশ যোগ করে মোট তিন শতাংশ প্রণোদনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

Advertisement

রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি রুবানা হক।

এ সময় সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়সাল সামাদ, সহ-সভাপতি এম এম মান্নান কচিসহ সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের তৈরি পোশাক খাত বিশ্ববাজারে দুর্বল শিশুর মতো। এ খাতকে বাঁচাতে হলে নগদ সহায়তা বাড়ানো জরুরি। বাজেটে পোশাক রফতানির সব ক্ষেত্রে অন্তত ৩ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানান তারা।

Advertisement

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, এখন তৈরি পোশাকের চারটি খাত ৪ শতাংশ রফতানি প্রণোদনা পাচ্ছে। আগামী অর্থবছর থেকে তৈরি পোশাকের বাকি সব খাতের জন্য ১ শতাংশ রফতানি প্রণোদনা প্রস্তাব করা হয়েছে। এজন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে আরও দুই হাজার ৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, প্রতিনিয়ত যদি আমাদের শুনতে হয়, আমরা ম্যাচিউরড, এস্টাব্লিশড, আমাদের আর সাহায্য দরকার নেই। অর্থনীতিবিদরাও একই কথা বলেন। আসলে তা ঠিক নয়।

পোশাকে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি নেই। গড়ে ৫ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি রয়েছে। গত এক মাসে আমরা ৩০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। ঈদের আগে অনেকে মেশিন বিক্রি করে বেতন দিয়েছেন। তাই যারা বলেন পরিপক্ব ও ম্যাচিউরড ইন্ডাস্ট্রি, প্রণোদনা ও ভর্তুকির দরকার নেই- এটা ঠিক নয়, এটার দরকার আছে৷

রুবানা হক বলেন, পোশাক খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রণোদনা বাড়ানো দরকার। গত কয়েক বছরে আমরা সর্বোচ্চ ৮০০ কোটি টাকার প্রণোদনা উঠিয়েছি। নানা রকম ঝামেলার কারণে অনেকেই ইনসেনটিভ পানও না, নেনও না। নতুন বাজারের ক্ষেত্রে প্রণোদনা বাড়ানো উচিত।

Advertisement

পোশাক মালিকদের এ নেতা বলেন, কৃষকের সঙ্গে মালিকের তুলনা করা চলে না। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গেলে আমাদের মনে হয় শিশু। দুর্বল শিশুর অবস্থানে চলে এসেছি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রণোদনা অন্তত ৩ শতাংশে উন্নীত করার দাবি করছি।

পোশাক কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুতে ভ্যাট অব্যাহতির বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, অগ্নিনিরাপত্তার ৮টি উপকরণে শুল্ক কমানোর কথা বললেও ৫টি কমানো হয়েছে।

সামাজিক নিরাপত্তা খাতে পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের উন্নয়নে বাজেটে বরাদ্দ রাখার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে তা রাখা হয়নি। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট ৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ খাতে পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রুবানা হক বলেন, এক শতাংশ প্রণোদনা পেয়েছি, তাই এবারের বাজেটে ৭০ ভাগ খুশি। আমরা অন্তত ৩ শতাংশ প্রণোদনা চাই। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় প্রস্তাবিত বাজেটকে জনকল্যাণমুখী বলেছিলাম। আমি এখনও আগের অবস্থানেই আছি। এটি ব্যবসাবান্ধব ও জনকল্যাণমূলক বাজেট।

এসআই/এমএমজেড/জেআইএম