বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি রুমিন ফারহানা সংসদে যোগ দিয়েই সংসদকে অবৈধ বলায় ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। এ সময় বিএনপির এমপিদের সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী কথা বলতে বলেন তিনি।
Advertisement
রোববার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বিকেল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিরোধীদলও সংসদে এসেছে। যদিও কেউ কেউ বলছেন সংসদ অবৈধ। অবৈধই যদি হয়, তাহলে এসেছেন কেন? কেউ তো চরণ ধরে সংসদে আনেনি। অবৈধ বলবেন, আবার সুযোগ-সুবিধা নেবেন। জলে নামবো, জল ছিঁটাবো, গা ভেজাবো না, এটা হয় না। সংসদে গণতন্ত্রের চর্চাই ভালো।
তিনি বলেন, আজ কেউ কেউ উন্নয়ন দেখে না। ওনারা চোখ থাকতে অন্ধ। ওনারা পদ্মা সেতু দেখেন না, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, গড় আয়ু বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি -তারা এসব কিছুই দেখেন না। তারা এসব কিছু না দেখলেও দেশের জনগণের কিছু আসে যায় না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
Advertisement
সম্পূরক বাজেট সর্ম্পকে তিনি বলেন, আমি যখন কৃষিমন্ত্রী ছিলাম, কিছুটা কিপটা -তাই খরচ কমিয়ে করেছি। কিন্তু বিজ্ঞান চর্চায় খরচের কোনো কমতি ছিল না।
নির্বাচন কমিশনের ব্যয় প্রসঙ্গ তুলে ধরে মতিয়া চৌধরী বলেন, বিগত সংসদ নির্বাচন বিতর্কিত করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৌশলী ও উদার নেতৃত্বের কারণে সেটা তারা পারেনি।
তিনি আরও বলেন, আদমজী জুট মিলটি বন্ধ করে দিয়েছিল, জুট মিলগুলোর অবস্থা ভালো না। জুট মিলগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। উন্নয়ন কাজে টাকা যদি বেশি খরচ হয়ে যায় আমি সেটা অন্যায় মনে করি না। সংসদ নিশ্চয়ই সেটা অনুমোদন দেবে।
শেখ হাসিনার সরকার বেশি খরচ করেছে ঠিক। কিন্তু সেটা হাওয়া ভবন খোলার জন্য ব্যয় করেনি। সমস্ত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মুখোমুখি হয়েই তিনি ব্যয় করেছেন -বলেন তিনি।
Advertisement
এইচএস/আরএস/পিআর