আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন (বিজিএমইএ)।
Advertisement
রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক।
তিনি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের উন্নয়নে বাজেটে বরাদ্দ রাখার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে তা রাখা হয়নি। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট ৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ খাতে পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করছি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট ৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা বাজেটের ১৪.২১ শতাংশ এবং জিডিপির ২.৫৮ শতাংশ। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে এ বাবদে ৬৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।
Advertisement
বর্তমানে দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনার কথা বলছে সরকার। আর আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার পাঁচ বছরে এ খাতে বরাদ্দ দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার এবং বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪৪ লাখে উন্নীতের প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী।
বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতাভোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১৭ লাখ এবং অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ ৪৫ হাজারে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছেন তিনি।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির সংখ্যা ৯০ হাজার থেকে এক লাখ জনে বৃদ্ধি করে উপবৃত্তির হার প্রাথমিক স্তরে ৭০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫০, মাধ্যমিক স্তরে ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৮৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০০ টাকা করার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
Advertisement
এছাড়া সব হিজড়াকে অন্তর্ভুক্ত করে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ৬ হাজারে উন্নীত এবং বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উপকারভোগীর সংখ্যা ৬৪ হাজার থেকে ৮৪ হাজারে বৃদ্ধির ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী।
এ প্রেক্ষিতে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বলেন, দেশীয় সামাজিক সুরক্ষা খাতে পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করছি। ঘরে ঘরে শিল্প উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে না। আমাদের সেই স্বপ্ন থাকা উচিত। শিল্পখাতকে ধরে রাখতে উদ্যোক্তা শ্রেণিদের লালন পালন করতে হবে বলে জানান তিনি।
এসআই/এএইচ/জেআইএম