সর্বনিম্ন স্কেলে বেতন ২০ হাজার টাকা হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বেতন দ্বিগুণ বাড়ানোয় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণ বেড়েছে এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন দ্বিগুণ বাড়ায় ঘুষ যেন চারগুণ না বাড়ে। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সরকারি চাকরিজীবীদের মনে রাখতে হবে আপনারা জনগণের টাকা নিচ্ছেন। তাই জনগণকে কাজও দ্বিগুণ দিতে হবে। কাজ করতে হবে দক্ষতার সঙ্গে। পাশাপাশি থাকতে হবে স্বচ্ছতা। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ বেতন কাঠামো ধরা হয়েছে ৭৮ হাজার টাকা। আর সর্বোনিম্ন বেতন ৮ হাজার ২৫০ টাকা। এটা বৈষম্য। সর্বনিম্ন বেতন স্কেল হওয়া উচিত ছিল ২০ হাজার টাকা।সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বেতন স্কেল দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে ভালো কথা। কিন্তু এর প্রভাব যেন দ্রব্যমূল্যের উপর না পরে। জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বিচার করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তাহলেই জনগণের ঘরে ঘরে এর সুফল পাওয়া যাবে। আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বেতন স্কেল অনুয়ায়ী বেতন পাবেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পাবেন না। তা হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও এই বেতন কাঠামোর আওতায় আনতে হবে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষার্থীরা পড়া-লেখা করতে আসে তাদের ওপর ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা কাম্য নয়। এটা বৈষম্য। অবিলম্বে এই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভ্যাট নেয়া বন্ধ করতে হবে। সংগঠনের উপদেষ্টা হাজি মো. সেলিমের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা হারুন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু, সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।এএসএস/এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement