দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস। দেখতে দেখতে পথচলার ৪০ বছর পার করছে গানের দলটি। ১৯৭৯ সালে ঢাকায় জন্ম নেয় হামিন আহমেদ, ফরিদ রশিদ, শাফিন আহমেদ ও মানাম আহমেদের ঐতিহ্যবাহী মাইলস।
Advertisement
দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফরিদ রশিদ ১৯৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেলেও বাকি ৩ সদস্য এখনও অটুট রয়েছেন। সঙ্গে আছেন ইকবাল আসিফ জুয়েল ও সৈয়দ জিয়াউর রহমান তূর্য। এদিকে ‘মাইলস’ প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বড় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন দলের সদস্যরা। সেখানে থাকছে একটি কনসার্ট। এতে অংশ নেবেন দেশ-বিদেশের মিউজিশিয়ানরা। থাকবে শ্রোতাদের জন্য বিশেষ উপহার।
এই বিস্তারিত জানাতে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ‘মাইলস’। আগামীকাল অনুষ্ঠিত সেই সম্মেলনে চার দশক পূর্তির বিস্তারিত জানাবেন দলটির সদস্যরা।
মাইলস প্রধান হামিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘পথচলার দীর্ঘ এই পথ ছিলো নানা রঙে মুড়ানো। এই সাফল্যের বড় প্রেরণা আমাদের শ্রোতারা।
Advertisement
বিশেষ পরিকল্পনায় আমরা এই দেশ ও বিদেশে ধারাবাহিক কনসার্টের প্ল্যান করছি। আমাদের এই জার্নিতে অংশ নেবেন অনেকেই। ১৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে একটি কনসার্টের মাধ্যমে আমাদের এই কার্যক্রম শুরু হবে। আর শেষটা হবে ডিসেম্বরে বড় একটি ওপেন এয়ার কনসার্টের মাধ্যমে। হতে পারে সেটা আর্মি স্টেডিয়ামে। তবে এখনও এসব বিষয় চূড়ান্ত নয়।’
১৯৭৯ সালে মাইলস-এর শুরুটা হয় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (সাবেক হোটেল শেরাটন)-এ ইংরেজি গান পরিবেশনার মাধ্যমে। ১৯৮২ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম বের হয় ইংরেজি ভাষায়।
মাইলস-ই প্রথম ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে সিডি অ্যালবাম প্রকাশ করে। ডিস্কো রেকর্ডিং নামে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে প্রকাশিত এই সিডির নাম ‘বেস্ট অব মাইলস’। ১৯৯৬ সালে ভারতে পাঁচটি, আবুধাবি ও দুবাইতে দুটি কনসার্ট করে। চ্যানেল এম ও এমটিভি সরাসরি এই কনসার্ট রেকর্ড করে। ১৯৯৬ সালে তারাই প্রথম বাংলাদেশী ব্যান্ড ছিল, যারা প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরে যায়।
মাইলসের ইতিহাসে একটি অন্যতম কনসার্ট হয়েছিল ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে, যেখানে প্রায় ৬০,০০০ দর্শক হয়েছিল। এই কনসার্টটি আয়োজিত হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে যার স্পন্সর ছিল পেপসি।
Advertisement
২০০১ সালে মাইলস নয়াদিল্লির জহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে কনসার্ট-এর জন্য আমন্ত্রিত হয়। ঐ কনসার্টে আরও ছিল জুনুন এবং সিল্ক রুট ব্যান্ড।
মাইলসের অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাইলস (ইংরেজি- ১৯৮২), প্রতিশ্রুতি (১৯৯১), প্রত্যাশা (১৯৯৩), প্রত্যয় (১৯৯৬), প্রয়াস (১৯৯৭), প্রবাহ (২০০০), প্রতিধ্বনি (২০০৬), প্রতিচ্ছবি (২০১৫) ও প্রবর্তন (২০১৬)।
এলএ/পিআর