আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে পরীক্ষা করেন সবর তথা ধৈর্যের মাধ্যমে। যারা ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেন, আল্লাহর দরবারে পরীক্ষা দেন তারাই কৃতকার্য হন। আল্লাহ তাআলা তাদের আমরত্ব ঘোষণা করেছেন কুরআনুল কারিমে। আল্লাহর দরবারের পরীক্ষার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সবর। জাগো নিউজে সবরের আদর্শ গ্রহণ করে আল্লাহর দরবারে পরীক্ষার দেয়ার ধরণ তুলে ধরা হলো-আল্লাহ বলেন, وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوفْ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الأَمَوَالِ وَالأنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ অর্থাৎ এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবর তথা ধৈর্যধারনকারীদের।الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُواْ إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ অর্থাৎ যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।আয়াতের শিক্ষাহযতর আবু মুসা আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছে, যদি কোনো লোকের সন্তানের মৃত্যু হয় তখন আল্লাহ তাআলা ফিরিশতাদের জিজ্ঞাসা করেন, তোমরা কি আমার বান্দার শিশুর রুহ কবজ করেছ? ফিরিশতাগণ আরজ করেন, জী হ্যাঁ, অতপর আল্লাহ জিজ্ঞাসা করেন, তোমরা কি আমার বান্দার শান্তি ছিনিয়ে এনেছ? তারা উত্তরে বলেন, হ্যাঁ। তখন আল্লাহ জানতে চান, এ সময় আমার বান্দা কি বলেছে, ফিরিশতাগণ বলেন সে ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।’ পড়েছে। এবং আপনার হামদ ও প্রশংসা করেছে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ তৈরি কর আর এর নাম বাইতুল হামদ রাখ। (তিরমিজি, তাফসিরে রুহুল মাআনী)মুসলমানদের বিপদে ধৈর্যধারন আল্লাহর হিকমত-১. বিপদ আসার পূর্বে প্রস্তুতি গ্রহণ, বিপদে ধৈর্য ধারণ সহজ হয়।২. বিপদের সংবাদে মুমিনের ভয়ের উদ্রেক, অধিকতর ছাওয়াব লাভের কারণ।৩. চরম বিপদের মুহূর্তে দ্বীনের ওপর সাহাবা কেরাম ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অচল ও অবিচল থাকাই প্রমাণ করে যে, ইসলাম সত্য ধর্ম।৪. বিপদ আসর পূর্বে সতর্কবার্তা, শুধু বিস্ময়করই নয়, বরং অলৌকিকও বটে।৫. ইসলামের প্রাথমিক যুগে অর্থ-সম্পদের লোভে মুনাফেকরা মুসলমানদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। ধন-সম্পদের ক্ষতির সতর্কবাণী উচ্চারণের ফলে সুবিধাবাদীরা বিদায় গ্রহণ করেছিল। যা ইসলামের জন্য বিরাট উপকার হয়েছে।পরিশেষে...পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের উচিত, কুরআনের ভাষা উপলব্দি করে জীবনে বাস্তবায়ন করা। তবে পাওয়া যাবে আল্লাহর নৈকট্য। লাভ হবে রহমত, বরকত ও নাজাত। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমিন। জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement