মানিকগঞ্জে এক তরুণীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে শরিফুল ইসলাম (১৯) নামে এক যুবককে গণধোলই দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে জনতা। জেলার শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
শরিফুল ইসলাম দক্ষিণ তেওতা গ্রামের হামেদ মৃধার ছেলে। তার দাবি, ওই তরুণীকে তিনি কোনো শ্লীলতাহানি করেননি। শুধু নাম জিজ্ঞাসা করেছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া চরের এক তরুণী চলমান ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি ও ছবি তোলার জন্য তেওতা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আসেন। একই উদ্দ্যেশে আসা শরিফুল ইউনিয়ন পরিষদের বাথরুমে ওই তরুণীকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ সময় তার চিৎকারে ভোটার হতে আসা উপস্থিত লোকজন শরিফুলকে আটকের পর মারধর করে। এ সময় ভুক্তভোগী ও তার আত্মীয়-স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের শরিফুলকে ধমক দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেন। শরিফুল বাইরে বের হলে উত্তেজিত জনতা তাকে জোর করে মাথা ন্যাড়া করে ছেড়ে দেন।
এ ব্যাপারে তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি নিয়ে মানসম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী ও তার আত্মীয়দের কোনো অভিযোগ না থাকায় শত শত লোকের উপস্থিতিতে শরিফুলকে শাসন করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়া হয়।
Advertisement
স্থানীয় পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আতিকুর রহমান আতিক বলেন, শরিফুল এলাকার চিহ্নিত বখাটে। অতীতেও তার বিরুদ্ধে নারীঘটিত বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এজন্যই তাকে জনতা এমন শাস্তি দিয়েছে।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ মাহমুদ জানান, এ বিষয়ে কেউ তার কাছে অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বি.এম খোরশেদ/আরএআর/এমকেএইচ
Advertisement