দেশজুড়ে

ফতুল্লায় গার্মেন্টসকর্মীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৪

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ফতুল্লায় এক গার্মেন্টসকর্মীকে (১৮) গণধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

গ্রেফতাররা হলেন- পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানার ধলাশ্বর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে সুমন (২২), জামালপুরের লাহারি কান্দার শহিদুল ইসলামের ছেলে টুটুল (২৮), ফরহাদ (২২) ও ঝালকাঠির কৃপাথ নগর এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে শাকিল (২৩)। এদের মধ্যে সুমন ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ বেপারী বাড়িতে বসবাস করেন। আর বাকি তিনজন বিসিক শাসনগাঁও হাজী মোল্লা সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার ওই তরুণী আদমজী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সম্প্রতি মৌসুমী নামে এক তরুণী তার স্বামী নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী বসবাস করে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। সেই সুবাধে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেশ কিছুদিন আগে মৌসুমী কদমতলী থেকে চলে এসে ধর্মগঞ্জের আরাফাতনগর এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন।

Advertisement

ঈদের ছুটিতে গত শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে মৌসুমী ওই তরুণীকে ফোন করে তার বাড়িতে বেড়াতে আসতে বলেন। পরে ওই তরুণী তার বন্ধু শামীমকে নিয়ে মৌসুমীর বাড়িতে যান। ওইদিন সন্ধ্যার পর মৌসুমী পরিকল্পনা করে ওই তরুণী ও তার বন্ধু শামীমকে নিয়ে বক্তাবলীর নদীরপাড় ঘুরতে যান মৌসুমী। তখন ৬/৭জন তাদেরকে আটক করে বক্তাবলীর ছলিম উল্লাহর ইটভাটায় নিয়ে যায়। এ সময় তারা শামীমকে মারধর করে ওই তরুণীকে ইটভাটার একটি ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তবে তারা মৌসুমীকে কিছু বলেনি। পরে তারা ওই তরুণীসহ তার বন্ধুকে মৌসুমীর বাড়িতে আটকে রেখে মুক্তিপণ হিসেবে ৪০ হাজার টাকা দাবি করে তাদের পরিবারের কাছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার (৯ জুন) সকালে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জের আরাফাতনগর এলাকা হতে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়েন করেন।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর আজিজুল হক জানান, গার্মেন্টসকর্মীকে গণধর্ষণের ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বান্ধবী মৌসুমীর সহযোগিতায় এ কাজ করেছে। তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ধর্ষণের পর ওই তরুণীকে যখন আটক করে মুক্তিপণ চাওয়া হয় সেই সময় সু-কৌশলে তরুণীকে উদ্ধার করে বান্ধবী মৌসুমীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

শাহাদাত হোসেন/আরএআর/এমকেএইচ

Advertisement