সরকারি কর্তাব্যক্তিরা যেভাবে জিন্স, টি-শার্ট, নতুন লুঙ্গি-গামছা পরে ধান কাটার ফটোসেশন করেছে তাতে খেতমজুরদের রীতিমতো উপহাস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
Advertisement
তিনি বলেন, প্রয়োজন এখন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার, সংগঠিত হওয়ার। সেই সংগঠিত শক্তিই পারবে আন্দোলনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে।
আজ শনিবার গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় কৃষক সমিতি ও বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কনভেনশনে তিনি এ কথা বলেন। কনভেনশনে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, পলিটব্যুরো সদস্য ও জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি নুরুল হাসান, কার্যকরী সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ, সহসভাপতি মনোজ সাহা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। খেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি বিমল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কনভেনশনে কৃষকদের ১২ দফা ও খেতমজুরদের ১২ দফা দাবি উত্থাপন করা হয় এবং এ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী বোরো মৌসুম পর্যন্ত আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়।
Advertisement
কনভেনশনে প্রধান বক্তা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন বলেন, যে কৃষক তেভাগা আন্দোলনে আওয়াজ তুলেছিল ‘জান দেবো, তবু ধান দেবো না’ সেই কৃষক আজ ক্ষেতের ধান পুড়িয়ে দিচ্ছে দাম না পেয়ে, এর দায় সরকারকে নিতে হবে। পোশাক কারখানা মালিক, ঋণখেলাপি, কালো টাকার মালিকরা প্রণোদনা পায় কৃষক তার শস্য বিক্রিতে কেন প্রণোদনা পাবে না। আজ ধান উৎপাদনে বেশি খরচের পিছনে খেতমজুরদের মজুরিকে অজুহাত হিসেবে তুলে ধরে কৃষক ও খেতমজুরকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। অথচ খেতমজুররা দৈনিক ৭০০-৯০০ টাকা পায় মাত্র তিন মাসের কাজের সময়ে, যা দিয়ে তাদের পুরো বছর সংসার চালাতে হয়।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, উদারনৈতিক পুঁজিবাদ অনুসরণ করে রাষ্ট্র কৃষক-খেতমজুরদের শোষণ করছে। ৯৫ ভাগ মানুষের শ্রমের উৎপাদন ৫ ভাগ লুট করে খাচ্ছে।
এফএইচএস/এএইচ/এমএস
Advertisement