পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির ফলে শেরপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চরপক্ষীমারী, চরমোচারিয়া, বেতমারী-ঘুঘুরাকান্দি, রৌহা, লছমনপুর ও বলাইরচর ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। অব্যাহত রয়েছে নদী ভাঙনও। প্রতিদিনই ভাঙছে ঘর-বাড়ি আর প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। ফলে পানিবন্দি রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এদিকে, বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে মঙ্গলবার দুপুর থেকে শেরপুর-জামালপুর সড়কের পোড়ার দোকান ডাইভারশনের ওপর দিয়ে প্রায় দেড় ফুট উচ্চতায় বন্যার পানি প্রবাহিত হয়। ফলে ওই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করলেও প্রাইভেটকার, পিকআপ ভ্যান, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের হালকা যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পর্যবেক্ষক মো. রইছ উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আরও নয় সেন্টিমিটার বেড়েছে। শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবীবুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, নদী ভাঙন কবলিত চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের কুলুরচর বেপারীপাড়া এলাকা থেকে ৪০টি পরিবারকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সোমবার সন্ধ্যায় অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে । হাকিম বাবুল/এমজেড/পিআর
Advertisement