জাতীয়

ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ১০ সুপারিশ

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ১০টি সুপারিশ উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির তথ্য মতে এবারের ঈদযাত্রায় দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২৩২টি দুর্ঘটনায় ২৭৩ জন নিহত ও ৮৪৯ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সম্মিলিতভাবে ২৫৬টি দুর্ঘটনায় ২৯৮ জন নিহত ও ৮৬০ জন আহত হয়েছেন। আর এ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ১০টি সুপারিশ তুলে ধরেন তারা।

Advertisement

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে শনিবার (১৫ জুন) সংবাদ সম্মেলনে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০১৯ প্রকাশকালে এ সুপারিশ করেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

সুপারিশগুলোর হলো- ১. চালকের প্রশিক্ষণ, লাইসেন্স ইস্যু পদ্ধতি আধুনিকায়ন, যানবাহনের ফিটনেস প্রদান পদ্ধতি আধুনিকায়ন, রাস্তায় ফুটপাত-আন্ডারপাস-ওভারপাস নির্মাণ, জেব্রা ক্রসিং অঙ্কন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও গবেষণা, ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ সড়ক নিরাপত্তায় ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য চলতি বাজেটে সড়ক নিরাপত্তা খাতে ১০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া।

২.জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলকে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা।

Advertisement

৩. চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা।

৪. ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা।

৫. ওভারলোড নিয়ন্ত্রণে মানসম্মত পর্যাপ্ত গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা।

৬. মহাসড়কে গতি নিরাপদ করা, ধীরগতি ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা। ৭. মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ করা।

Advertisement

৮. ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধের আদেশ শতভাগ কার্যকর করা।

৯. সড়ক নিরাপত্তায় ইতোমধ্যে যেসব সুপারিশ প্রণীত হয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা।১০. ঈদের আগে ও পরের ৩ দিন ঈদের ছুটি নিশ্চিত করা।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন; অদক্ষ চালক ও হেলপার দ্বারা যানবাহন চালানো; মহাসড়কে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন-করিমন ও মোটরসাইকেল অবাধে চলাচল; বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো; সড়ক-মহাসড়কে ফুটপাত না থাকা; পণ্যবাহী যানবাহন বন্ধের নিষেধাজ্ঞা অমান্য এবং মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা এসব দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবারের ঈদযাত্রায় বিগত বছরের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে ১৯.৩৯ শতাংশ। এ ছাড়া নিহতের হার ২৪.১৭ ও আহত ৪৮.৯৯ শতাংশ কমেছে। এবার মোট ২৩২টি সড়ক দুর্ঘটনার ৭৬টি ঘটেছে মোটরসাইকেলের সঙ্গে অন্যান্য যানবাহনের সংঘর্ষে, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩ শতাংশ। যেখানে মোট নিহত ৩০ শতাংশ এবং মোট আহত ১০ শতাংশ।’

এএস/এনডিএস/এমকেএইচ