আবারও সৌদি আরবের আবহা বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী। গতকাল শুক্রবার এ হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহেই বিমানবন্দরে দুইবার হামলা চালালো ইয়েমেন।
Advertisement
ইয়েমেনি সেনাবাহিনী বলছে, শুক্রবার ভোরে সৌদি আরবের আবহা বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় কাসিফ-২কে ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলার পর বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। শুক্রবার পাঁচটি ড্রোন-হামলা প্রতিহত করা হয়।
এর আগে গত বুধবার সৌদির আবহা বিমানবন্দরে হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৬ জন আহত হন। বুধবার হুথি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভির খবরে জানানো হয়, একটি ক্রুজ মিসাইল দিয়ে এই হামলা চালানো হয়।
Advertisement
তবে প্রথম হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি সৌদি। মাত্র একদিন আগেই রিয়াদের তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয় যে, ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের চালানো দুটি ড্রোন হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।
ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ বৃহৎ একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে হুথিদের নিয়ন্ত্রণে। সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, গত সোমবার দুটি ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে সৌদির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় খামিস মুসাইত এলাকায় ওই হামলা চালানো হয়। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
হুথি বিদ্রোহীদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তারা খামিস মুসাইতের কাছে কিং খালিদ বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে দুটি ড্রোন লক্ষ্যে আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী।
গত কয়েক মাস ধরেই সৌদির বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে হুথি বিদ্রোহীরা। গত মাসে সৌদির জিযান শহরে একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।
Advertisement
২০১৪ সালে রাজধানী সানা দখলের পর সৌদি সমর্থিত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদিকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে হুথিরা। তারপর থেকেই দেশের বাইরে রয়েছে তিনি। তাকে ক্ষমতায় ফেরাতে ২০১৫ সালের জুনে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোট।
সে কারণেই সৌদির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে হুথিরা। ইয়েমেনের এই বিদ্রোহীগোষ্ঠী বলছে, তারা সৌদি আরব, ইয়েমেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৩শ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে টার্গেট করে হামলা অব্যাহত রাখবে।
জেডএ/জেআইএম