দেশজুড়ে

প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করায় স্বামীকে মেরে ফেললেন ২য় স্ত্রী

ময়মনসিংহে যুবলীগ কর্মী শফিকুল ইসলাম সপু হত্যা মামলার প্রধান আসামি দ্বিতীয় স্ত্রী আফরোজা শেখ ইতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী শেখ ইতি।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১ এর বিচারক মাহবুবা আক্তার এ জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই মনিরুজ্জামান জানায়, শফিকুল পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে এবং প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়ার শর্তে এক বছর আগে ইতিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতেই বসবাস করতো শফিকুল। মাঝে মধ্যে লুকিয়ে প্রথম স্ত্রী মাহমুদার সঙ্গে দেখা করতেন তিনি। এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি দ্বিতীয় স্ত্রী ইতি। গত ১০ জুন সকালে শফিকুলকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে সেখানে দুজনকে এক সঙ্গে দেখতে পায় ইতি। সেখানে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়ার পর নিজ বাড়িতে চলে আসেন তিনি।

ওইদিন দুপুরে প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে আসে শফিকুল। বিকেলে পার্শ্ববর্তী হাবুন বেপারীর মোড়ে বিশ্বকাপ খেলা দেখে রাত ১২টার দিকে বাসায় ফিরে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ঘুমের মধ্যেই দ্বিতীয় স্ত্রী ইতি তার গলায় উড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ভোর হওয়ার আগেই মরদেহটি বিছানার চাদরে করে বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত ডোবায় কচুরিপানার নিচে পুতে রাখে।

Advertisement

পরদিন ১১ জুন ইতি তার স্বামী শফিকুল ইসলাম শপু নিখোঁজ হওয়ার কথা উল্লেখ করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এতে বলা হয় যে, ১০ জুন রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে শফিকুল আর বাসায় ফিরে আসেনি।

নিখোঁজের তিনদিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ইতির বাসা সংলগ্ন সেই ডোবায় শফিকুলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের মা নুরুন্নাহার বাদী হয়ে আফরোজা শেখ ইতিকে প্রধান, অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। রাতেই পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে মামলাটি হস্তান্তর করে এবং ওই রাতেই ইতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রকিবুল হাসান রুবেল/এমএএস/পিআর

Advertisement