খেলাধুলা

রোডস, জোসি আর ওয়ালশ-কি কথা তাদের মাঝে?

বৃষ্টি, বৃষ্টি আর বৃষ্টি। আকাশ মেঘে ঢাকা। ঝিরঝিরে ইলশে গুঁড়ি বা টিপ টিপ যাই বলা হোক কেন, বিরক্তিকর বৃষ্টিই এখন সঙ্গী টাইগারদের। সেই যে কার্ডিফ থেকে শুরু হয়েছে, তারপর ব্রিস্টল ঘুরে টনটনেও বৃষ্টি কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না।

Advertisement

আজ (শুক্রবার) দুদিন বিরতির পর নির্ধারিত অনুশীলনেও বৃষ্টি ভোগাতে পারে, এমন সংশয় ছিল। ভুগিয়েছেও। তবে বৃষ্টি ভোগালেও আজ সেভাবে বাধা হয়ে দাড়ায়নি।

দুপুরে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন শুরুর আগেও দুই পশলা মাঝারি বর্ষণ হলো। তারপরও থেমে থেমে কয়েকবারই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চললো। কিন্তু তার তীব্রতা কম থাকায় ঐ ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টিতেই চললো মাশরাফি বাহিনীর অনুশীলন।

স্থানীয় সময় বেলা দুইটার আগেই টনটনের সমারসেট কাউন্টি ক্লাব মাঠের ড্রেসিং রুমে জড়ো হলেন ক্রিকেটাররা। সেই শ্রীলঙ্কার সাথে ম্যাচের আগের দিন থেকে প্র্যাকটিস বন্ধ। তারপর গত পরশু বুধবার আর কাল বৃহস্পতিবার ছিল বিশ্রাম।

Advertisement

মোদ্দা কথা, কদিন পর প্র্যাকটিসের উদ্দেশ্যে মাঠে আসা। আগেই বলে নেয়া ভাল, কদিন পর প্র্যাকটিস সিডিউল থাকলেও আজ ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। যার খুশি আসতে পারেন। নাও পারেন। জাতীয় দলের ১৫ জনের বহরের চারজন আসেননি আজ প্র্যাকটিসে। এর মধ্যে উরুর ব্যথায় বিশ্রামে সাকিব। হোটেলেই থেকে গেছেন আসেননি মাঠে।

এছাড়া পেসার রুবেল হোসেন, ব্যাটসম্যান লিটন দাস আর অলরাউন্ডার মোসাদ্দেককে দেখা গেল না প্র্যাকটিসে। এছাড়া মুশফিক, সৌম্য, মিঠুন, মোস্তাফিজ আর সাইফউদ্দীন আসলেন পাশের ইনডোর থেকে। প্র্যাকটিস শুরুর ঘন্টা খানেক আগে থেকে শুরু হলো তাদের কার্যক্রম। সেটা অবশ্য প্র্যাকটিসের অংশ নয়। সমারসেট কমিউনিটি কোচিং ক্লিনিকের ছেলে মেয়েদের সাথে ‘ওয়ান ডে ফর চিলড্রেন’ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে পুরো দলের সাথে মিশলেন ঐ পাঁচ ক্রিকেটার।

স্কুলের বাচ্চাদের সাথে এক ঘন্টা সময় কাটানো, তাদের সাথে খেলা এবং কিছু ক্রিকেটীয় টিপস-সবই চললো। এরপর পাশেই থাকা ড্রেসিং রুমে গিয়ে দলের অপর সদস্যদের সাথে জড়ো হলেন ক্রিকেটাররা। আড়াইটার মধ্যে প্রায় সবাই ঢুকে গেলেন মাঠে।

যদিও বেলা দুইটার মধ্যেই হেড কোচ স্টিভ রোডস আর স্পিন বোলিং কোচ সুনিল জোসি এসে মাঠে ঢুকলেন। তারা কিছুক্ষণ একে অন্যের সাথে কথাও বললেন।

Advertisement

তারপর সোয়া দুইটা নাগাদ আসলেন ফাস্টবোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। হেড কোচ স্টিভ রোডস আর ওয়ালশ খানিকটা সময় একান্তে কথা বললেন। বোঝাই গেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রণকৌশল নিয়েই নিজেদের মধ্যে শলা-পরামর্শ করে নিলেন দুই কোচ। তার অল্প কিছু সময় আগে বাংলাদেশি মিডিয়ার সাথে কথা বলে গেলেন কোর্টনি ওয়ালশ।

এই মাঠেই দুদিন আগে অস্ট্রেলিয়া আর পাকিস্তান ম্যাচে দুই দল একাদশ সাজিয়েছিল এক ঝাক ফাস্টবোলার নিয়ে। সেই মাঠে তিন দিন পর খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে।

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টনটনের সমারসেট কাউন্টি ক্লাবের তুলনামূলক ছোট আউটফিল্ডে বোলারদের ভূমিকা কি হতে পারে? চার পেসার নিয়ে মাঠে নামা ঠিক হবে? নাকি ক্যারিবীয় টপ অর্ডারে তিন চারজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে ছাড়া নামা ঠিক হবে না-এসব নিয়েই হয়তো নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা সেরে নিলেন রোডস ও ওয়ালশ।

আগামী দুই দিনের মধ্যেই বোঝা যাবে, শেষ পর্যন্ত একাদশের গঠনশৈলি কি হবে!

এআরবি/এমএমআর/পিআর