২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
Advertisement
শুক্রবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মওদুদ বলেন, আমি মনে করি, আওয়ামী লীগ সরকার সুবিধাভোগীদের জন্য এই বাজেট প্রণয়ন করেছে। এখানে মানুষের সাধারণ মানুষের জন্য কিছু নেই। ইদানিং আমাদের কৃষকরা আন্দোলন করেছে এমনকি আত্মহত্যা করেছে, তাদের ধানের খেত পুঁড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাজেটে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণে কোনো রকমের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
Advertisement
তিনি বলেন, যত বড় বড় প্রজেক্ট, তত বড় বড় দুর্নীতি। দুর্নীতির সমস্ত পথ উন্মুক্ত। এই যে ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক বাজেটের বিশাল অংশ চলে যাবে কমিশন এজেন্টদের কাছে। উন্নয়নমূলক বাজেটের সত্যিকারের ফল তৃণমূল পর্যায়ে কত পারসেন্ট যাবে তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ আছে।
স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে যথাযথ বরাদ্দ বাড়েনি বলেও মন্তব্য করেন মওদুদ।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘এই বাজেটের মাধ্যমে জনগণ করের বোঝা পেয়েছে। এই বাজেটে যা বর্ণনা করা হয়েছে বর্তমান বছর ও আগামী বছর, এটা বর্তমান বছরের একটা ব্যর্থতার দলিল বলে আমি মনে করি।’
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে দেশ পরিচালনা করছে তারা জনপ্রতিনিধি নয়, তারা এক অলিগার্ক শ্রেণি। তারা ব্যবসা করছে, রাজনীতি করছে, নীতি প্রণয়ন করছে এবং বাস্তবায়ন করছে তাদের নিজেদের স্বার্থে।’
Advertisement
তিনি বলেন, যখন দেশে গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতা থাকে না, তখন এই অলিগার্ক শ্রেণি দেশ পরিচালনা করে দেশের সম্পদ নিজেদের জন্য পুঞ্জিভূত করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান।
কেএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ