এই দলে আছে ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, আন্দ্রে রাসেলের মতো বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। কেউ একজন দাঁড়িয়ে গেলেই তো প্রতিপক্ষের 'বারোটা বাজা'র জন্য যথেষ্ট। কিন্তু ওয়ানডে ক্রিকেট যে শুধুই মারকাটারি ব্যাটিংয়ের নয়, সেটি আরও একবার টের পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
Advertisement
ইংলিশ বোলারদের সামনে ক্যারিবীয় হার্ডহিটাররা কেউই দাঁড়াতে পারলেন না। সাউদাম্পটনে ইনিংসের ৩২ বল বাকি থাকতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে গেছে ২১২ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ক্যারিবীয়রা। মাত্র ২ রান করে ক্রিস ওকসের বলে বোল্ড হন এভিন লুইস। ক্রিস গেইল আর শাই হোপ সে ধাক্কা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ৫০ রান।
সেট হওয়ার পর নিজের আসল চেহারাটা গেইল প্রকাশ করতে যাবেন, ঠিক এমন সময়েই লিয়াম প্লাংকেট সাজঘরে পাঠান তাকে। ৪১ বলে ক্যারিবীয় ওপেনার করেন ৩৬ রান। পরের ওভারেই শাই হোপকেও তুলে নেয় ইংল্যান্ড। ৩০ বলে মাত্র ১১ রান করে মার্ক উডের বলে এলবিডব্লিউ হন এই ব্যাটসম্যান।
Advertisement
৫৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন বিপদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে ৮৯ রানের জুটি গড়েন সিমরন হেটমায়ার আর নিকোলাস পুরান। এই উইকেটটা থিতুই হয়ে গিয়েছিল। এমন মুহূর্তে চমক দেখান জো রুট। পার্টটাইমার হয়ে জুটিটা তো ভাঙেনই, টানা দুই ওভারে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিবীয়দের আবারও বিপদে ফেলে দেন এই অফস্পিনার।
রুটের নেয়া দুটি উইকেটই ছিল ফিরতি ক্যাচ। ৩৯ রান করে হেটমায়ার যেভাবে আউট হন ঠিক সেভাবেই রুটকে ফিরতি ক্যাচ দেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার (৯)। পরের ব্যাটসম্যানরা আর কেউই বলার মতো কিছু করতে পারেননি।
আন্দ্রে রাসেল তার বিধ্বংসী রূপ বের করার আগেই হয়েছেন মার্ক উডের শিকার। ১৬ বলে ১ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ২১ রান করে ক্রিস ওকসের হাতে ক্যাচ দেন এই অলরাউন্ডার।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ৩টি করে উইকেট শিকার জোফরা আর্চার আর মার্ক উডের। জো রুট নেন ২টি উইকেট।
Advertisement
এমএমআর/এমকেএইচ