নদী পুনরুদ্ধারে জনসম্পৃক্ত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ওয়াটারকিপারর্স বাংলাদেশ নামক দুটি সংগঠন।
Advertisement
শুক্রবার (১৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘সরকারের নদী উদ্ধারে সাম্প্রতিক তৎপরতা : আদি বুড়িগঙ্গা ও সোনাই নদীর বাস্তবতা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, স্থানীয় সরকার প্রশাসন ও এমপিরা দয়া করে নদী রক্ষায় সহযোগিতা করুন। যাতে নদীগুলোকে আমরা উদ্ধার করতে পারি। নদী উদ্ধার না হলে বাংলাদেশ বাঁচবে না। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারের নদীবিষয়ক সব কাজ ব্যর্থ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তারা দাবি জানিয়ে বলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, দখলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, নদীর সীমানা নির্ধারণের সিএস কিংবা আরএসভিত্তিক ভুল ব্যাখ্যা প্রদান বন্ধ করতে হবে, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা ও শাস্তির মাধ্যমে নদী রক্ষায় সচেষ্ট করতে হবে এবং খননের নামে দেশের সব নদীকে নালা বা খালে পরিণত করার চলমান কর্মকাণ্ড বন্ধ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়কারী শরীফ জামিল, বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য শারমিন মুরশিদ প্রমুখ।
এএস/জেডএ/পিআর