ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি আঞ্চলিক অফিসসহ দেশের তিনটি স্থানে দুর্নীতি প্রতিরোধে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ আসে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আজিমপুর অফিসে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ এবং আপিলে ব্যাপক অনিয়ম ও ঘুষ লেনদেন হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদক প্রধান কার্যালয়ের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম বৃহস্পতিবার অভিযান চালায়। সরেজমিন অভিযানে দুদক টিম দেখতে পায়, ট্যাক্স বাবদ রশিদের মাধ্যমে আদায়কৃত সকল টাকা যথাসময়ে চালানের মাধ্যমে জমা ও রেজিস্টারে এন্ট্রি হয়নি। এছাড়াও হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণে ব্যাপক অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ পায় দুদক টিম।
আপিল নিষ্পত্তি যথাসময়ে হয় না মর্মেও দুদক টিম জানতে পারে। উদাহরণস্বরূপ একটি আপিল নিষ্পত্তির সভা হওয়ার কথা থাকলেও সকল সদস্যের অনুপস্থিতির কারণে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়নি। সার্বিকভাবে ওই দফতরে মনিটরিংয়ের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে মর্মে দুদক টিম অভিমত ব্যক্ত করে।
এসব অনিয়ম দূরীকরণে ডিএসসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা মিয়া মো. জুনায়েদ আমীনকে পরামর্শ প্রদান করে দুদক টিম।
Advertisement
এদিকে নোয়াখালীতে একটি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী থেকে বৃহস্পতিবার এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তারা দেখে যে, নিম্নমানের ইট ও বালু দিয়ে ভবনটি নির্মিত হচ্ছে। দুদক টিম এ বিষয়ে সাইট ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলে এবং নিম্নমানের কাজ বন্ধ করে যথাযথ মান নিশ্চিত করে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের নির্দেশনা প্রদান করে। অভিযানকালে প্রায় শতাধিক জনসাধারণ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন এবং তারা দুদকের অভিযানকে স্বাগত জানান। দুদক টিম উক্ত বিদ্যালয় নির্মাণে পরবর্তীতে কোনো অনিয়ম হলে তাৎক্ষণিকভাবে দুদক অভিযোগ কেন্দ্র (হটলাইন- ১০৬) জানানোর জন্য পরামর্শ প্রদান করে।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে একই দিন অভিযান চালিয়েছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইল থেকে এ অভিযান চালানো হয়। দুদক টিম পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বাইরে দালালের অস্তিত্ব পায়। তবে টিমের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে দালালরা পালিয়ে যায়। দুদক টিম ওই বিদ্যুৎ অফিসের বিলিং পদ্ধতি খতিয়ে দেখে এবং ব্যাপক অনিয়মের অস্তিত্ব পায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মিটার চেক করে গ্রাহকদের বিল দেয়া হয় না, বরং ঢালাওভাবে বিল প্রস্তুত করা হয়- এরূপ একাধিক প্রমাণ পায় দুদক টিম। এসব অনিয়মের বিষয়ে ওই অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মোস্তফা কামালকে সতর্ক করে দুদক টিম এবং দায়িত্বে গাফিলতির সাথে জড়িত মিটার রিডারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করে।
এমইউ/এনএফ/এমএস
Advertisement