২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে স্বর্ণ আমদানি শুল্কহার প্রতি ভরিতে এক হাজার টাকা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাব পাস হলে স্বর্ণ আমদানির খরচ কমবে। যদিও তা বাস্তবায়ন হতে কিছুটা সময় লাগবে, কিন্তু এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে স্বর্ণের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ভরিপ্রতি স্বর্ণে সর্বোচ্চ এক হাজার ১৬৬ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে স্বর্ণের এ নতুন দর কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
এর আগে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ভরিপ্রতি স্বর্ণে সর্বোচ্চ এক হাজার ১৬৬ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছিল বাজুস। আন্তর্জাতিক বাজারে স্বার্ণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বাজারে তা বাড়লো বলে জানিয়েছেন জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়াল। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেটের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই, এটা আগের নেয়া সিদ্ধান্ত।’ শুক্রবার থেকে বাড়তি দামে স্বর্ণ বিক্রি হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই দাম বলবত থাকবে বলে তিনি জানান।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২৩ ক্যারেটের প্লাটিনামের প্রতি ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪ হাজার ১৫২ টাকা। এ ছাড়া ২২, ২১ ও ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ প্রতি ভরিতে বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৬৬৬ টাকা। তবে অপরিবর্তীত রয়েছে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ও রুপার দাম।
Advertisement
বাজুস জানায়, নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের মানের প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ হাজার ৩২২ টাকা। ২১ ক্যারেট ৪৮ হাজার ৯৮৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বেড়ে হয়েছে ৪৩ হাজার ৯৭৩ টাকা। আর প্রতিভরি সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ অপরিবর্তীত রেখে নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ হাজার ৫৮৫ টাকা। প্রতিভরি ২১ ক্যারেট রুপা (ক্যাডমিয়াম) দাম এক হাজার ৫০ টাকা।
এদিকে সংসদে উত্থাপিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে স্বর্ণ আমদানিতে শুল্কহার কমানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণ (বার) আমদানি করতে শুল্ক ৩ হাজার টাকা শুল্ক দেয়ার নিয়ম রয়েছে। এই আমদানি শুল্ক এক হাজার টাকা কমিয়ে দুই হাজার টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সম্প্রতি দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা স্বর্ণগুলোর বৈধতা দেয়ার জন্য ভরিপ্রতি ১ হাজার টাকা করে কর দেয়ার সুযোগ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এর আগে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতেই প্রদান করা হয়েছে স্বর্ণ নীতিমালা। সব সুবিধা পাওয়ার পরই আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে হঠাৎ করে ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দিল স্বর্ণের দাম।
এসআই/এমআরএম
Advertisement