ইমরান খান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি এক বক্তব্যে তিনি ইসলামের প্রথম যুদ্ধ বদর এবং ওহুদ যুদ্ধের ব্যাপারে বিতর্কিত দৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দেন। তার এ ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে খোদ পাকিস্তানে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়।
Advertisement
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন দেশটির প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ, কেন্দ্রীয় শরিয়া কাউন্সিল আদালত ও পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্ট শরিয়া আপিল বেঞ্চের সাবেক বিচারক মুফতি ত্বকি ওসমানি এবং প্রসিদ্ধ আলেম জাহেদ রাশেদি।
ইমরান খান তার বক্তব্যে বলেন, ‘বদর যুদ্ধে সাহাবায়ে কেরাম ৩১৩ ছাড়া সবাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এ বক্তব্যকে চরম মূর্খতা বলে টুইটারে মন্তব্য করেন মুফতি ত্বকি ওসমানি।
جنگ احد میں تیر انداز دستے کا ٹیلے سے ہٹ جانا ایک اجتہادی لغزش تھی وہ حضرات یہ سمجھے تھے کہ دشمن بھاگ چکا ہے اور جنگ ختم ہوگئی ہے اس لئے ھمارا یہاں کھڑا رھنا ضروری نہیں ہے اسے جانی بوجھی نافرمانی نہیں کہا جاسکتا اور اسکے لئے لوٹ مار کا لفظ استعمال کرنا بھی بے ادبی ہے
Advertisement
এ বক্তব্যের ব্যাপারে মুফতি ত্বকি ওসমানি উল্লেখ করেন, ‘বরং প্রকৃত ঘটনা হলো, হজরত কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘বদর যুদ্ধের সিদ্ধান্ত এত দ্রুততম সময়ে হয়েছে যে, অনেক সাহাবি যুদ্ধের কথা জানতেই পারেনিনি।’
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ওহুদ যুদ্ধের ব্যাপারেও উদ্ধত্যপূর্ণ বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। যা ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য চরম অবমাননাকর বিষয়।
ওহুদ যুদ্ধ সম্পর্কিত বক্তব্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে টুইটারে মুফতি উসমানি উল্লেখ করেন, ‘ওহুদ যুদ্ধে তীরন্দাজ বাহিনীর টিলার দিক থেকে সরে যাওয়া ছিল একটি ইজতেহাদি ভুল। এই ভুলের জন্যে তাদেরকে নাফরমান বলা এবং তাদের শানে লুটতরাজের শব্দ ব্যবহার করা চরম বেআদবির শামিল।
وزیراعظم صاحب کایہ کہنا کہ جنگ بدر میں صرف ۳۱۳ صحابہ شریک ہوے باقی ڈر گئے انتہائی ناواقفیت ہے حضرت کعب رضی اللہ تعالی عنہ صاف فرماتے ہیں کہ قافلے کا پیچھا کرنے کا فیصلہ جلدی میں ہوا تھا اس لئے بہت سے صحابہ کو اطلاع نہ ہوسکی اور وہ شریک نہ ہوسکے اسے بزدلی سمجھنا بڑا ظلم ہے
Advertisement
সাহাবাযে কেরামের শানে ইমরান খানের এ বক্তব্য চরম মূর্খতা ও বেআদবি শামিল। তার এ বক্তব্যে বিশ্বব্যাপী ইসলাম প্রিয় মুমিন মুসলমানের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক।
এমএমএস/জেআইএম