সৌদি ভুল দিনে ঈদ পালন করেছে এমন সমালোচনার মধ্যেই নতুন তথ্য সামনে এলো। একই রকম ভুল যুক্তরাজ্য এবং মরক্কোও করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
গত ৪ জুন ঈদ পালন করেছে যুক্তরাজ্য, সৌদি, মরক্কোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। কিন্তু তারা সঠিক দিনেই ঈদ পালন করেছে কি-না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক সানডে এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের সরকারি সংস্থা এইচএম নটিক্যাল আলমানাক অফিসের তৈরি চন্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী এটা একেবারেই পরিষ্কার যে, ৩ জুন সোমবার যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব এবং মরক্কোর কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি।
ব্রিটেনের ইসলামি গবেষক ও লেখক ড. জাহিদ আজিজ এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার ধারণা সৌদি নতুন চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর না করে তাদের সরকারি পঞ্জিকা অনুযায়ী পূর্ব নির্ধারিত সময়েই ঈদের ঘোষণা দিয়েছে।
Advertisement
বিশ্বের অনেক দেশই মক্কার এমন ঘোষণার পর ঈদ পালন করেছে। সব সময়ই এটা হয়ে আসছে। যদি ২৯ রমজানে চাঁদ দেখা যায় তাহলে ঈদের ঘোষণা দেয়ার কথা। নতুন চাঁদ দেখার পরেই রমজান মাস শেষ হয় এবং শাওয়াল মাস শুরু হয়। আর যদি নতুন চাঁদ দেখা না যায় তবে আরও একটি রোজা পূর্ণ করে তারপর ঈদ পালন করা হয়।
একটি লাইভ প্রোগ্রামে ড. জাহিদ আজিজ বলেন, সৌদি চাঁদ না দেখেই ঈদের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী যদি হিসাব করা হয় তাও এটা অসম্ভব। কারণ ৩ জুন সোমবার সৌদি বা বিশ্বের কোথাও নতুন চাঁদ দেখা যাওয়া একেবারেই অসম্ভব। এইচএম নটিক্যাল আলমানাক অফিসও এটা নিশ্চিত করেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, নতুন চাঁদ নিজস্ব সময় অনুযায়ী দেখা দেবে। কোন ধর্মীয় পণ্ডিত বা সরকারের নির্দেশ মতো চাঁদ উঠবে না। তাই চাঁদ না দেখে ঈদ করা ইসলামের পরিপন্থী। এদিকে, ৩ জুন ঈদের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় পরের দিন অর্থাৎ ৪ জুন ঈদ পালন করার কারণে সৌদি সরকার ১৬০ কোটি রিয়াল কাফফারা দিয়েছে বলে দাবি করেছে একটি পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম।
আরো পড়ুন: ভুল ঈদ পালনে ১৬০ কোটি রিয়াল কাফফারা সৌদির!
Advertisement
টিটিএন/জেআইএম