দেশজুড়ে

শেষমেশ ভাঙা হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুপার মার্কেট ভবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কোর্ট রোডের পৌর সুপার মার্কেট ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল কয়েক বছর আগেই। একতলা বিশিষ্ট জরাজীর্ণ ওই ভবনটি ভেঙে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বহুতল বিশিষ্ট আধুনিক শপিং মল করার উদ্যোগ নিলেও ব্যবসায়ীদের বাধার কারণে সেটি আর হয়ে ওঠেনি। ফলে যেকোনো মুহূর্তে ভবনটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা ছিল।

Advertisement

তবে অবশেষে ভেঙে ফেলা হচ্ছে ভবনটি। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের উপস্থিতিতে দুইটি বুলডোজার দিয়ে মার্কেট ভাঙার কাজ শুরু করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর সুপার মার্কেট ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সেটি ভেঙে ছয়তলা বিশিষ্ট আধুনিক শপিং মল করার উদ্যোগ নেয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। মার্কেটটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১২০টির মতো দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা মার্কেট থেকে তাদের দোকান অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য একাধিকবার সময় নেন। কিন্তু তারা দোকান না সরিয়ে পৌরসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান। তবে মামলা-মোকদ্দমায় পরাজিত হন ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর হস্তক্ষেপে ব্যবসায়ীরা গেল ঈদুল ফিতর পর্যন্ত সময় নেন। গতকাল বুধবার সেই সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে মার্কেট ভাঙার কাজ শুরু করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও সুপার মার্কেট ভাঙা কমিটির আহ্বায়ক ফেরদৌস মিয়া সাংবাদিকদের জানান, হাইকোর্ট ৯ মাস আগে মার্কেটটি খালি করার রায় দিয়েছিলেন। ব্যবসায়ীরা এমপির সঙ্গে কথা বলে ঈদের সাতদিন পর চলে যাবে বলে সময় নিয়েছিলেন। এই মর্মে আমাদের সঙ্গে চুক্তিও হয়েছে। চুক্তি মোতাবেক আমরা মার্কেট ভাঙার কাজ শুরু করেছি।

এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজা পারভীন, পৌরসভার সচিব আবুজর গিফারী, সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান ও ১নং ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক মো. নুরুজ্জামানসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

আজিজুল সঞ্চয়/এফএ/জেআইএম

Advertisement