বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা জানতে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাঞ্জানিয়ান ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ১৮ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। এ দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তাঞ্জানিয়ার রাষ্ট্রদূত পিটার এলান খালাগি।
Advertisement
তাঞ্জানিয়ার প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের পরিকল্পনা তুলে ধরতে বুধবার সকাল সোয়া ৯টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। শেষ হয় পৌনে ১১টায়। এ সময় বাংলাদেশের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. শামসুল আলম। এরপর সেখানে উন্মুক্ত আলোচনা হয়। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাঞ্জানিয়ার প্রতিনিধি দলের সামনে বাংলাদেশের ১৯৭৩-৭৮ সালের প্রথম পঞ্চবার্ষিক কর্মপরিকল্পনা থেকে ২১৯-২০ সালের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সম্পর্কে তুলে ধরেন শামসুল আলম। ভিশন ২০২১, ভিশন ২০৪১ এর বিভিন্ন দিক, বাজেট বিষয়ে বাংলাদেশের পরিকল্পনার বিষয়গুলোও তিনি তাদের সামনে তুলে ধরেন।
এ সময় তাঞ্জানিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা পলিসি করলেও তাদের বেসরকারি খাত তা বাস্তবায়ন করে না। এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বেসরকারি খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি। কৃষি খাতের বিভিন্ন উপ-খাতে স্বল্প সুদে ঋণ দিই। সেখান থেকে আমরা ভালো ফল পাচ্ছি। অন্যান্য বেসরকারি খাতও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী তাঞ্জানিয়ার জন্য শুভ কামনা জানিয়ে বলেন, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় থাকবে এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কও বজায় থাকবে।
Advertisement
পিডি/এমএসএইচ/জেআইএম