মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় স্বামী সিরাজুল ইসলামের নির্যাতন সইতে না পেরে গায়ে আগুন দেয়া গৃহবধূ জিয়াসমিন (৪০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
Advertisement
চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান জিয়াসমিন। তার বড় ভাই মো. সিরাজুল ইসলাম আরিফ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার শ্রীনগর থানায় জিয়াসমিনের স্বামী সিরাজুল ইসলামকে আসামি করে নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন বড় ভাই মো. সিরাজুল ইসলাম আরিফ।
শুক্রবার দুপুরে শ্রীনগর উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের সেলামতি গ্রামে নিজ বাড়িতে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন জিয়াসমিন।
Advertisement
জিয়াসমিন কোলাপাড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ পাইকসা গ্রামের মৃত আ. আজিজ চৌধুরীর মেয়ে। ২৩ বছর আগে সেলামতি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে প্রতিবন্ধী এক মেয়ে ও মালয়েশিয়া প্রবাসী এক ছেলে রয়েছে।
শ্রীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস আলী বলেন, নারী নির্যাতন দমন আইনে জিয়াসমিনের স্বামী সিরাজুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে জিয়াসমিনকে নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক আছেন।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। দ্রুত পলাতক স্বামীকে গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীনগর উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের সেলামতি গ্রামের সিরাজুল ইসলাম প্রায়ই তার স্ত্রী জিয়াসমিনের (৪০) ওপর নির্যাতন চালাতেন। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে কেরোসিন ঢেলে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন জিয়াসমিন। প্রতিবেশীরা উদ্ধার করার আগেই তার শরীরের বেশির ভাগ ঝলসে যায়। ঘটনার পরপর জিয়াসমিনকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় পাঠান। চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান জিয়াসমিন।
Advertisement
ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/এএম/পিআর