ঈদের সপ্তম দিন আজ। সারাদেশে চলছে ঈদের তিন ছবি ‘পাসওয়ার্ড’, ‘নোলক’ ও ‘আবার বসন্ত’। এই তিন ছবির মধ্যে শাকিব খান অভিনীত পাসওয়ার্ড ছবির বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ উঠেছে। নির্মল আনন্দ পেতে সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটি দেখে হতাশ হয়েছেন অনেকেই। শাকিবের অনেক ভক্তই চটেছেন ছবিটি দেখে। প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।
Advertisement
দেশের নাম্বার ওয়ান হিরোর কাছে ভক্তদের প্রত্যাশা অনেক। তার অভিনীত একটি ভালো ছবি দেখার জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা করেন ভক্তরা। দিন শেষে প্রিয় নায়ককে কপি ছবিতে দেখে হোচট খেতে চান না কেউ।
ঈদের আগে থেকেই নানা উপায়ে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এসেছেন ‘পাসওয়ার্ড’ ছবির নির্মাতা মালেক আফসারীসহ সংশ্লিষ্টরা। ছবিটি ভারতীয় কিংবা তামিল ছবির নকল প্রমাণ করতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা। নানা মাধ্যমে প্রচারণার পর ছবিটির হাইপও উঠেছিল বেশ। হুমড়ি খেয়ে ছবিটি দেখতে হলে গেছে দর্শক। এখানে ব্যতিক্রম শাকিবকে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শাকিবপ্রেমীরা।
সন্দেহ নেই ঈদের তিন ছবির মধ্যে ব্যবসায় এগিয়ে আছে ‘পাসওয়ার্ড’। তবে অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়ান সিনেমা ‘দি টার্গেট’ থেকে নকল করে নির্মাণ করা হয়েছে এটি। যখনই অন্য জনপ্রিয় ছবির সঙ্গে গল্প ও অ্যাকশনের মিল খুঁজে পেয়েছেন দর্শক তখনই মন ভেঙেছে তাদের।
Advertisement
ছবিটি দেখে এসে হতাশা প্রকাশ করে আবু বকর সিদ্দিক নামে এক সিনেমাপ্রেমী স্ট্যাটাস দিয়েছেন, “প্রতি ঈদে একটাই পরিকল্পনা থাকে, মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা সিনেমা হলে গিয়ে দেখতেই হবে। সেই ধারাবাহিকতায় অনেক আশা নিয়া গেলাম হলে। কারণ এবারই প্রথম বাংলা ভাষার বিশ্বমানের সিনেমা দেখবো। পুরাটা ছবি শেষ পর্যন্ত দেখেছি, সাম্প্রতিক সময়ে আমার দেখা শাকিবের জঘন্যতম সিনেমা এটা।
ফরাসি সিনেমা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক এবং দক্ষিণ কোরিয়ান সিনেমা ‘দি টার্গেট’ এই দুই সিনেমার কাহিনি ও চিত্রনাট্যই ব্যবহার করা হয়েছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড মানের ছবি ‘পাসওয়ার্ড’ এ! কেউ যদি নকল প্রমাণ করতে পারে তাহলে পরিচালক মালেক আফসারী বলছিলেন ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেবেন। স্ট্যাটাস দিয়েছি, নজরে পড়লে একটা লাইক দিয়া বিকাশে প্লিজ টাকাটা পাঠায় দিয়েন খরচসহ!”
খলিলুর রহমান ফয়সাল নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘দেখে আসলাম পাসওয়ার্ড। চিৎকার চেচামেচিতে ভরা এই মুভি। কোনো গল্প নেই। ডিরেকশনের আগা মাথা কিসসু হয়নি। ভোগাস, ডিজগাসটিং মার্কা ছবি এটি।
শাকিবের চেয়ে ডিরেক্টরের দোষ বেশি। শাকিবের কাজ অভিনয় করা, ডিরেক্টরের কাজ দৃশ্যগুলো তৈরি। ডিরেক্টর মিস্টার আফসারি সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। মিথ্যা কথা বলে ডিরেক্টর আমাদের হলে যেতে অনুরোধ করেছেন। সেটা একটা অপরাধ বলে মনে করি। ইন্টারন্যাশনাল মান বলতে উনি কি বুঝাতে চেয়েছেন তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। তবে পাসওয়ার্ডের চেয়ে বাংলাদেশেই ন্যাশনাল অনেক ভালো মুভি আছে।’
Advertisement
এমন অসংখ্য দর্শক ও শাকিব ভক্তরা নকলের অভিযোগ তুলে ‘পাসওয়ার্ড’ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। ছবিটি নকল প্রমাণিত হওয়ার পরও মোটেও মাথা ঘামাচ্ছেন না মালেক আফসারী। তিনি বলেন, ‘পাসওয়ার্ড আমার সাহস বাড়িয়ে দিলো। আমার মনে দেশপ্রেম জাগিয়ে দিলো। বাংলা ছবির জন্য কিং খানকে সাথে নিয়ে বারবার প্রমাণ করতে চাই, আমরা বাঙালিরাও পারি আন্তর্জাতিক মানের ছবি বানাতে।’
মালেক আফসারী আরও বলেন, ‘অনেকের মন জয় করেছি। যাদের মন জয় করতে পারিনি তাদের বাদ দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’
শাকিব খান ফিল্মসের প্রযোজনায় নির্মিত এ চলচ্চিত্রে শাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন বুবলী। এছাড়া অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, ইমন, অমিত হাসান ও ডন।
এমএবি/এলএ/এমকেএইচ