মামলার হাজিরা দিতে গ্রাম থেকে শহরে আসা এক যুবককে গুম করার ভয় দেখিয়ে ৬৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশাল কোতয়ালী থানার দুই অফিসারের বিরুদ্ধে। বিষয়টি থানার সবাই জেনেও চেপে যাচ্ছিলেন।কিন্তু বিপত্তি বাঁধে সোমবার রাত ১০টার দিকে। ওই যুবক থানায় এসে শীর্ষ কর্মকতাদের কাছে অভিযোগ করার পর। এমন খবরে গণমাধ্যমের তৎপরতা দেখে নড়েচড়ে বসেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।রাতেই দুই উপ-কমিশনার (সদর) সোয়েব আহাম্মেদ ও উপ-কমিশনার (দক্ষিন) গোলাম রউফ খান এবং সহকারী কমিশনার (কোতয়ালী) মো. আসাদুজ্জামান অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত দুই পুলিশকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে এদের একজন এএসআই হাবিবকে থানা থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করার কথা জানান উপ-কমিশনার সোয়েব আহাম্মদ।তবে হয়রানির শিকার মুলাদী উপজেলার উত্তর বালিয়াতলি গ্রামের বাবুল খানের ছেলে আজম খান অপর এসআই শমিরন মন্ডলের বিরুদ্ধে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নেয়ার অভিযোগ করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।আজম খানের অভিযোগ, গত ২ সেপ্টেম্বর জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে মুলাদী থেকে বরিশাল নগরীতে এসেছিলেন তিনি। হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর এএসআই হাবিব তাকে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে জিম্মি করে অস্ত্র আছে-গুম করে ফেলার ভয় দেখিয়ে সঙ্গে থাকা ১৮ হাজার টাকা নিয়ে আরো টাকা দেয়ার শর্তে ওই দিন ছেড়ে দেয়।পরবর্তীতে এসআই সমিরন মন্ডল এবং এএসআই হাবিব কয়েক দফায় নম্বর বিকাশ আরো ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ওই ঘটনার পর ঢাকা চলে গেলেও বাড়ি ফিরে সোমবার রাতে থানায় অভিযোগ করেন তিনি।তবে অভিযুক্তদের একজন এসআই সমিরন মন্ডল ওই দিন তার মুঠোফোন বন্ধ ছিল বলে দায় এড়ানোর চেস্টা করেছেন।সাইফ আমীন/বিএ
Advertisement