খ্যাতিমান উপন্যাসিক জহির রায়হানের উপন্যাস ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ অবলম্বনে টেলিছবি নির্মিত হয়েছে। উপন্যাসের নামেই রাখা হয়েছে টেলিছবিটির নাম। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন হাসান রেজাউল। টেলিছবিটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ।
Advertisement
আজ ঈদের ষষ্ঠ দিন এনটিভিতে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে টেলিছবিটি। জহির রায়হানের উপন্যাসের চরিত্র হয়ে ওঠা, ঈদ ও নানা বিষয় নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন ইরফান সাজ্জাদ। আলাপের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।
জাগো নিউজ : ঈদের অনুষ্ঠানমালায় আজ প্রচার হচ্ছে আপনার অভিনীত জহির রায়হানের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ টেলিছবিটি। এই বিষয়ে জানতে চাই। ইরফান সাজ্জাদ : আমি এখানে কাসেদ চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্রটি সঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। যারা উপন্যাসটি পড়েছেন তারা ভালো ভাবে জানেন চরিত্রটি সম্পর্কে। হাসান রেজাউল টেলিছবিটি নির্মাণ করেছেন। এই নির্মাতা সাধারণত সাহিত্য নির্ভর কাজ করতে পছন্দ করেন, এর আগেও তার পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথের গল্পে অভিনয় করেছি। আশা করছি এই টেলিছবিটিও সবার ভালো লাগবে।
জাগো নিউজ : কাসেদ চরিত্রটি নিয়ে একটু খুলে বলবেন?ইরফান সাজ্জাদ : কাসেদ চরিত্রটি খুব ইন্টারেস্টিং একটি চরিত্র। খুব সহজেই চরিত্রটির সঙ্গে মানুষ মিলে যেতে পারবে। উপন্যাসটা যেহেতু অনেকের পড়া আছে, সবাই জানেন এই উপন্যাসটিতে বেশ কিছু সাইক্লোজিক্যাল ব্যপার আছে। জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান আছে এখানে। সত্যি কথা বলতে এতো দারুণ একটা উপন্যাস আমার আগে পড়া ছিলো না। এই টেলিছবিতে অভিনয় করার আগে আমি উপন্যাসটি পড়েছি এবং মুগ্ধ হয়েছি।
Advertisement
জাগো নিউজ : বিখ্যাত লেখকদের গল্প উপন্যাসের চরিত্রে অভিনয় করতে কেমন লাগে? ইরফান সাজ্জাদ : উপন্যাস নির্ভর কাজ করতে আমার আসলেই অনেক ভালো লাগে। যদিও এই সব চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে বেশ চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। সাহিত্য নির্ভর চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে না পারলে খুব বাজে দেখায়। আবার এটাও সত্যি কথা আমরা এখানে যেভাবে কাজ করি, একটা চরিত্রের জন্য অনেক সময় বের করা কঠিন।
যেহেতু আমরা প্রতিদিন অভিনয়ের মধ্যেই থাকি, যখন একটা চিত্রনাট্য পড়ি তখন মনের ভেতর চরিত্রটিকে গেঁথে ফেলি। পরে এটা নিয়ে নির্মাতার সঙ্গে আলোচনা হয়। যদি চরিত্রটি বেশি জটিল মনে হয় তাহলে শুটিংয়ের সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই নির্মাতার সঙ্গে আলোচনা চলতে থাকে। সব মিলিয়ে চেষ্টা করি সেই চরিত্রটিকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে।
জাগো নিউজ : সাহিত্যে জনপ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে মনে কোনো ভয় কাজ করে কি ?ইরফান সাজ্জাদ : আমি গল্পটি পড়ে কী বুঝলাম এটাকে আমি বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তাই কোনো চরিত্রে অভিনয় করতেই ভয় লাগে না। একজন অভিনতা হিসেবে আমি সব সময় চাই ভিন্ন ধরণের চরিত্রে অভিনয় করতে। চ্যালেঞ্জ নিতে বেশ ভালোই লাগে। চ্যালেঞ্জ নিতে পারলে, ভুল শুধরে নেওয়া যায়, ভালো হলে তো ভালোই।
জাগো নিউজ : টেলিছবির অন্যান্য চরিত্রগুলোতে যারা অভিনয় করেছেন তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া কেমন ছিলো?ইরফান সাজ্জাদ : এখানে জাহানারা চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্ষা, শিউলি চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রভা, নাহার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাসনুভা তিশা। তারা প্রত্যেকেই মেধাবী অভিনয় শিল্পী। তারা সবাই আমার খুব কাছের। খুব ভালো বোঝাপড়া ছিলো সবার সঙ্গে। আমরা প্রত্যেকেই চেষ্টা করেছি ভালো অভিনয় করতে।
Advertisement
বাকিটা দর্শক দেখে বলবেন। এনটিভির টেলিছবি ঈদে সবার জন্যই বিশেষ কাজ হিসেবে থাকে। এটা জহির রায়হানের উপন্যাস নিয়ে কাজ। সব মিলিয়ে অবশ্যই আমার জন্য এবং এই ঈদের স্পেশাল একটা কাজ ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’।
জাগো নিউজ : শেষ প্রশ্ন, ঈদ কেমন কাটলো আপনার?ইরফান সাজ্জাদ : ঈদের আরও বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে। সেগুলোই দেখছেন দর্শক। প্রতিবারের মতো এবারও বাবা মা ভাই বোনের সঙ্গেই ঈদ কেটেছে চট্টগ্রামে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটানোর চেষ্টা করি, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
এমএবি/এলএ/এমএস