রাজধানীর শনির আখড়ার আরএস টাওয়ারের বিপরীত পাশের একটি ভবনে বিস্ফোরণে আজ (১০ জুন) এক ব্যক্তি মারা গেছেন, আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। ওই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা জুড়ে এক্সিমব্যাংকের শাখা রয়েছে।
Advertisement
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে ওই ভবনের তৃতীয় তলায়ই বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে গ্যাস সিলিন্ডার, সেফটি ট্যাংকির গ্যাস নাকি এসির কারণে এই বিস্ফোরণ- তা নিশ্চিত করতে পারেনি তারা।
আরও পড়ুন>>শনির আখড়ায় ভবনে বিস্ফোরণ : নিহত ১ আহত ৩
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৯টা ২৩ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাড়ে ৯টার দিকে ভবনে প্রবেশ করে তাদের কর্মীরা। ৯টা ৪৩ মিনিটের দিকে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও বিস্ফোরণের সময় দেয়ালের একাংশ ভেঙে নিচে পড়ে যায়। এতে ইট চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন টুপি ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন (৫০)।
Advertisement
আহত হন ভ্যান চালক সাইদুল (৩০), ফল ব্যবসায়ী জাকির হোসেন (৩৫) ও বেকারির ম্যানেজার কামাল হোসেন (৪০)। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের জোন-৬ এর উপ-পরিচালক মো. নজিমুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের টিম নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় তারা সবাই নিচের সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, ভবনটির তৃতীয় ও দ্বিতীয় তলায় এক্সিম ব্যাংকের শাখা রয়েছে। আর নিচ তলায় আছে রেস্টুরেন্ট। পরিদর্শনে এটা স্পষ্ট যে, বিস্ফোরণ হয়েছে তৃতীয় তলায় এক্সিম ব্যাংক থেকেই। আলামত সংগ্রহ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখেও তাই মনে হয়েছে।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণের কারণে ভবনটির সামনের দেয়াল, দোতলার সামনের দেয়াল, আশপাশের ভবনের দেয়াল, তৃতীয় ও দ্বিতীয় তলার ফ্লোরের ছাদ ধসে পড়েছে। ডেকোরেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Advertisement
বিস্ফোরণের পেছনে ঠিক কী কারণ থাকতে পারে জানতে চাইলে মো. নজিমুজ্জামান বলেন, এসি, সেফটি ট্যাংক অথবা গ্যাস সিলিন্ডার যে কোনো একটি থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। নির্দিষ্ট করে এখনও কোনো কারণ আমরা নিরূপণ করতে পারিনি। তবে গ্যাস এবং এক্সিম ব্যাংকের তৃতীয় তলা থেকেই যে বিস্ফোরণের সূত্রপাত তা মোটামুটি নিশ্চিত।
ঘটনার তদন্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্ত করেই সুস্পষ্ট কারণ নিরূপণ সম্ভব হবে।
জেইউ/এমএমজেড/এমএস