বিনোদন

এটাই এই ঈদে সবচেয়ে বড় পাওয়া : আসিফ আকবর

ঈদ মানে খুশি। শুধু ঈদের দিনই নয়, পুরো এক সপ্তাহ ধরে ঈদের আনন্দ চলতে থাকে শহরে-গ্রামে। তারকারাও ব্যক্তি জীবনের ঈদকে সাজান অন্যদের মতই। তারকাদের ঈদ নিয়ে জানার আগ্রহ থাকে দর্শকদের। কোথায় ঘুরতে যাচ্ছেন?

Advertisement

ঈদ কীভাবে কাটালেন? ঈদের কোন খাবার পছন্দ? ছোটবেলার ঈদ কেমন ছিলো। এসব নানা বিষয় নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। তুলে ধরা হলো আলাপের চুম্বক অংশ।

জাগো নিউজ : প্রথমেই ঈদের গান নিয়ে শুনতে চাই। ঈদে কী গান আসলো, আর কয়টা গান আসবে আপনার গাওয়া?আসিফ আকবর : আমিতো সারা বছরই সমান তালে গান করে যাই। ঈদের গান নিয়ে আলাদা ভাবে বলার কিছু নেই। রোজার শুরুতেই ৭টা গান প্রকাশ পেয়েছে। সিডি চয়েস, আরটিভি মিউজিক, এস এস মাল্টিমিডিয়া, এস এস মিউজিক ক্লাব, আর্ব ইন্টারটেইনমেন্টসহ আরও বেশকিছু চ্যানেল থেকে ঈদ উপলক্ষ্যে প্রায় ১৮টি গান প্রকাশ হবার কথা।

এর মধ্যে অনেকগুলো গানই প্রকাশ হয়েছে। বাঁকিগুলো ধারাবাহিকভাবে আসছে।

Advertisement

মজার ব্যপার হলো খেলার গান করা হচ্ছিলো না। অনেক বছর পরে ক্রিকেট নিয়ে দুইটা গান করে ফেললাম। এরমধ্যে একটা প্রকাশ হয়ে গেছে। আরেকটা শিগগিরই আসবে র্যাবিটহোলের ব্যানারে। ইশতিয়াক আহমেদের লেখা গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছে চিরকুট ব্যান্ডের ইমন চৌধুরী।

জাগো নিউজ : ঈদ কোথায় করলেন, কেমন কাটলো ঈদ?আসিফ আকবর : ঈদ ঢাকাতেই কাটলো। ঈদের পরের দিন নাগরিক টিভিতে লাইভ করেছি। একটিই লাইভ করি ঈদে। গত বছরও নাগরিক টিভিতে লাইভ করেছি এবারও করলাম।

আর আমরা সাত ভাইবোন সবসময় এক সঙ্গে ঈদ করার চেষ্টা করি। এবার আমরা আমরা সবাই ঢাকাতেই ঈদ করেছি। কুমিল্লায় কোনা প্রোগাম রাখা হয়নি। ঈদের দিন ছোট ভাইয়ের বাসায় সারাদিন, তারপরের দিন মেজ ভাইয়ের বাসায়, তার পরের দিন আমার বাসায়, এভাবেই তিন চার দিন ভাইবোনদের বাসায় নিজেরা নিজেরা ঘোরাঘুরি চলেছে। নারায়ণগঞ্জে নানার বাড়ি যাবো মুরুব্বিদের সঙ্গে দেখা করতে।

জাগো নিউজ : ঈদের কী উপহার পেয়েছেন এবার?আসিফ আকবর : আম লিচু আসছেই নিয়মিত। ঈদে পাঞ্জাবি, শার্ট উপহার এসেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আসে এসব উপহার। আর ঈদের বাজার আমার করা লাগে না এখন। ছেলেরা সেইম সাইজ হয়ে গেছে। ওরাই আমার পাঞ্জাবি জুতা কিনে নিয়ে আসে। ওরাই করেছে ঈদের মার্কেট। আমরা ম্যাচিং করে পাঞ্জাবী পড়েছি।

Advertisement

জাগো নিউজ : ঈদের কোন খাবারটা বেশি পছন্দ আপনার?আসিফ আকবর : আমাদের সব ভাইবোনের পছন্দ গরুর মাংস। আব্বা বলতেন পোলাও মাংস ছাড়া ছাড়া ঈদ হবে না। সেই ঐতিহ্য এখনো আছে। আমি শুধু গরুর মাংসটা এখন খেতে পারি না। এখন খাওয়ার দিক থেকে আমার ঈদ হয় নিরামিষ।

বহুদিন পরে ভাই বোনেরা একসঙ্গে ঈদ করছি। সবাইকে এক সঙ্গে পেয়েছি। এটাই এই ঈদে বড় পাওয়া।

জাগো নিউজ : কখনো রান্না করেছেন?আসিফ আকবর : না না। আমি রান্না করতে পারি না। আমি শুধু ডিম সেদ্ধ করতে পারি আর দুধ গরম করতে পারি। আমি চা খাই না, চা বানাইও না।

জাগো নিউজ : ছোটবেলার ঈদ ও এখনকার ঈদের মধ্যে কী পার্থক্য অনুভব করেন?আসিফ আকবর : এটাই তো নিয়ম। ছোটবেলায় এক রকম উচ্ছ্বাস থাকে। বড় হয়ে গেলে, কর্ম জীবনে, সংসার জীবনে প্রবেশ করলে সেই উচ্ছ্বাস আর থাকে না। বয়স হলে আনন্দ- উৎসব উদযাপনের ধরন পরিবর্তন হতে থাকে। এখন সবার সঙ্গে দেখা হওয়াটাই আনন্দের।

জাগো নিউজ : শিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর প্রথম ঈদের স্মৃতি মনে পড়ে?আসিফ আকবর : মনে পড়ে। আগে কুমিল্লার মানুষ আমাকে ক্রিকেটার আসিফ হিসেবে চিনতো, পরে গায়ক আসিফকে চিনলো। ঈদে মাঠে গিয়ে প্রচুর কোলাকুলি করতে হয়। বাসায় দূর থেকে অনেক মানুষ আসে দেখা করতে। বাসার সামনে অনেকে দাঁড়িয়ে থাকে দেখা করতে।

জাগো নিউজ : ছোটবেলার একটা ঈদ স্মৃতি দিয়ে শেষ করতে চাই আজকের আলাপ-আসিফ আকবর : এখন তো তৈরি করা পোশাক পাওয়া যায়। তখন পোশাক বানিয়ে পরার প্রচলন ছিলো বেশি। দর্জি খুব ব্যস্ত থাকে ঈদকে ঘিরে। দেখা যাচ্ছে পাঁচ ভাইয়ের শার্ট বানাতে দেওয়া হয়েছে এক দর্জির কাছে। কারটা আগে বানানো হলো এটা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলতো।

টাকা জমিয়ে ক্যাসেট কেনারও একটা মজা ছিলো। আমাদের সময়ের হিট গান ছিলো ‘হাওয়া হাওয়া’। লাউড স্পিকারে গান বাজাতাম। যেনো সবাই শুনতে পায়। বেশ মজার ছিলো দিনগুলো। সেইরকম দিন আর নাই। সেইসব দিন এখন স্মৃতিতেই দেখা দেয়।

এমএবি/এলএ/এমএস