নাগরিক টিভির পর্দায় প্রচারণা চলেছে, ঈদের পঞ্চম দিন মাহতিম শাকিব ও ইমরান হোসেন যৌথভাবে সরাসরি গানের মেলা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে।
Advertisement
কিন্তু শোয়ের ঠিক একদিন আগে মাহতিম শাকিব নাগরিক টিভিকে জানিয়েছেন, তিনি শোতে অংশ নিতে পারবেন না। মাহতিম শাকিবের বিরুদ্ধে বেশি টাকায় বগুড়ার একটি শো পেয়ে পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল ফাঁসানোর এমনই অভিযোগ আনলো নাগরিক টিভি।
আজ রোববার (৯ জুন) নাগরিক টিভির অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান কামরুজ্জামান বাবুর ই-মেইল থেকে এক বার্তায় এই অভিযোগের ব্যাপারে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে কামরুজ্জামান বাবু জানান, মাহতিম শাকিব এক মাস আগে ইমরানসহ ঈদের পঞ্চম দিন নাগরিকের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে দিনক্ষণ ও টাকা পয়সা চূড়ান্ত করেন। অথচ একদিন আগে রাত একটার সময় তিনি ফোন করে বলেন যে প্রোগ্রামটি তিনি করতে পারবেন না। কারণ তিনি বগুড়ার একটি শো হাতে নিয়েছেন।
Advertisement
এই বিষয়ে জানতে চাইলে জাগো নিউজের কাছে বিষয়টি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে দাবি করেন মাহমিম শাকিব। তিনি বলেন, ‘আমাকে শুরু থেকেই ঈদের ৬ষ্ঠ দিনের কথা বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ী আমি শিডিউল ঠিক করে আজকের তারিখে বগুড়ার শোটি নিয়েছি।
কিন্তু এই শো নেয়ার পর আমাকে বলা হচ্ছে পঞ্চম দিনে নাগরিক টিভিতে গান করার জন্য। যেটা একেবারেই অসম্ভব। আজ আমাকে অন্য একটি শোতে অংশ নিতে হবে। সেটার জন্য অগ্রিম পারিশ্রমিকও নিয়েছি আমি।’
তিনি বলেন, ‘৬ জুনকে ঈদের দিন হিসেবে ধরে শিডিউল ঠিক করা ছিলো সব। কিন্তু ঈদ হয়েছে ৫ জুন। সেজন্য ভুল বোঝাবুঝিতে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। আমি কামরুজ্জামান বাবু ভাইয়ের সঙ্গে এ নিয়ে চারদিন আগেও কথা বলেছি। দুঃখ প্রকাশও করেছি শিডিউলের এই জটিলতার জন্য।
বাবু ভাই সিনিয়র মানুষ। আমার গুরুজনের মতো। আমি প্রত্যাশা করেছিলাম আমার মতো নবীনকে তিনি এই জটিলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবেন। কিন্তু তিনি আমার নামে শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ আনছেন। আমার ক্যারিয়ার নষ্ট করে যদি উনি শান্তি পান তবে আমার কিছু বলার নেই।’
Advertisement
এদিকে আজ বেলা ১২টার দিকে নাগরিক টিভির কাছে এই ভুল বোঝাবুঝির বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন মাহতিম শাকিববে। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চ্যানেলটির অনুষ্ঠান প্রধান কামরুজ্জামান বাবু।
উল্লেখ্য, এর আগে আরমান আলিফের বিরুদ্ধেও শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছিল। বাংলা ভিশনের একটি অনুষ্ঠানে তিনি আসার কথা দিয়েও আসেননি। নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে পেশাদারিত্বের এই অভাবকে অনেকেই সংগীতাঙ্গন ও শোবিজের জন্য হতাশার বলে মনে করছেন।
এলএ/আরআইপি