অর্থনীতি

মুন্নু সিরামিক : তিন মাসে নেই ৭২৯ কোটি টাকা

টানা মন্দাভাবের কারণে গত তিন মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মুন্নু সিরামিকের শেয়ারের দাম কমে প্রায় অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারে বিনিয়োগ করে ৭২৯ কোটি টাকারও বেশি হারিয়েছেন শেয়ারহোল্ডাররা। অবশ্য কোম্পানির শেয়ারের এমন দরপতনের আগে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছিল।

Advertisement

১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মুন্নু সিরামিকের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩২ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের সংখ্যা ৩ কোটি ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৭৪৭টি। প্রতিটি শেয়ারের ফেস ভ্যালু ১০ টাকা।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ে। এমন প্রেক্ষিতে সে সময়ে যারা প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার কিনেছেন, তাদের অধিকাংশই ধরা খেয়েছেন। কারণ গত তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমে অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ৩০ মে লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ২১৮ টাকায়। যা গত ৩ মার্চ ছিল ৪৪১ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে মুন্নু সিরামিকের প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ২২৩ টাকা ৩০ পয়সা। এ হিসাবে কোম্পানিটির সব শেয়ারে সম্মেলিতভাবে দাম কমেছে ৭২৯ কোটি ৩৩ লাখ ৬৮ হাজার ১০৫ টাকা।

Advertisement

অবশ্য কোম্পানিটির শেয়ারের এই দরপতনের আগে অস্বাভাবিক দাম বাড়ে। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর মুন্নু সিরামিকের ১০ টাকা দামের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২২৯ টাকা ৮০ পয়সা। যা অকেনটা টানা বেড়ে ৩ মার্চ ৪৪১ টাকা ৩০ পয়সায় পৌঁছায়। অর্থাৎ আড়াই মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়।

চলতি বছরের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বাড়লেও এক সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৫০ টাকারও অনেক নিচে। মূলত ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা শুরু হয়। ২০১৭ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত ১৩ মাস অনেকটা টানা বাড়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জুনের শুরুতে মুন্নু সিরামিকের শেয়ারের দাম ছিল ৩৭ টাকা ১০ পয়সা। যা অনেকটা টানা বেড়ে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই ৩৮৭ টাকায় পৌঁছায়। অর্থাৎ এক বছরের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ে সাড়ে ১০ গুণ।

এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেশ কয়েকবার ওঠানামা করে। তবে ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বরের পর থেকে চলতি বছরের ৩ মার্চ পর্যন্ত আবার অস্বাভাবিক হারে দাম বাড়ে।

Advertisement

প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ারের মধ্যে বর্তমানে ৫৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৩১ দশমিক ৫২ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে আছে দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার।

এমএএস/এমএমজেড/এমএস