দেশজুড়ে

বাগেরহাটে গণপূর্ত বিভাগের মালামাল বিক্রির অভিযোগ

বাগেরহাট গণপূর্ত বিভাগেরর অধীন সরকারি স্টাফ কোয়াটারের পুরাতন ভবনের মূল্যবান মালামাল অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট অফিসের উচ্চমান সহকারী আনিচুর রহমানের নির্দেশে পিয়ন আরিফ এ মালামাল বিক্রি করেছে বলে প্রথমিক তদন্তে জানা গেছে। এদিকে, ঘটনা তদন্তে গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।জানা যায়, গণপূর্ত বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আরিফ গত বুধবার ভোরে বাগেরহাট সরকারি স্টাফ কোয়াটার থেকে একাধিক ঠেলা গাড়ি বোঝাই করে পুরাতন ভবনের দরজা-জানালা, লোহার গ্রিল, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদিসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় ফজরের নামাজ পড়ে বাসায় ফেরা মুসল্লি আরিফের কাছে জানতে চাইলে অফিসের উচ্চমান সহকারী আনিছুর রহমানের নিদের্শে বাইরে নেয়া হচ্ছে বলে জানায় তিনি। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে লোহার রড, গ্রিল ও বৈদ্যুতিক মূল্যবান মালামাল গোপনে বিক্রি করে দেয়া হয়। এ মালামাল বাইরে নেয়া ও বিক্রির বিয়য়ে পিয়ন আরিফ বলেন, আমি ছোট চাকরি করি। যা করেছি সব উচ্চমান সহকারী আনিছুর রহমানের নির্দেশে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবো না। এ বিষয়ে উচ্চমান সহকারী আনিছুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ওই মালামাল অফিসের এসও আতিক সাহেবের মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমান চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, আনিছুর রহমানের নির্দেশেই এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দীন জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।শওকত আলী বাবু/এসএস/আরআইপি

Advertisement