জাতীয়

হাসপাতালেও ঈদের ছুটির আমেজ

পবিত্র ঈদুল ফিতরের তিনদিনের ছুটি শেষে আজ (শনিবার) রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের আউটডোরের চিকিৎসা সেবা শুরু হয়েছে। অন্য সময় প্রতিটি হাসপাতালে সকাল থেকে শত শত রোগীর ভিড় থাকলেও আজ সব হাসপাতালে রোগীর উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। রোগী কম থাকায় ব্যস্ততা নেই চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তাই কুশল বিনিময় করেই সময় কাটছে তাদের।

Advertisement

হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেন, এখনও শহরের লাখ লাখ মানুষ গ্রামে থাকায় হাসপাতালে ভিড় কম। আগামীকাল ও পরশুদিনের মধ্যে হাসপাতালগুলো পুনরায় আগের চেহারায় ফিরে আসবে বলে মনে করছেন তারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগে আউটডোরে গড়ে প্রতিদিন ৭-৮ হাজার রোগী হলেও আজ দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মাত্র ১২শ’ রোগী হয়েছে।

আউটডোরে পূবালী ব্যাংকের টিকিট বিক্রেতা সোহেল জানান, আজ হাসপাতালে আগতদের বেশির ভাগ হৃদরোগ, কিডনি, মেডিসিন ও চর্ম রোগী।

Advertisement

সরেজমিনে গিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএসএমএমইউর আউটডোরে বেঞ্চে বিষণ্ন মনে এক মধ্যবয়সী নারীকে বসে থাকতে দেখা যায়। ডাক্তার দেখাতে এসেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি নন, তার শাশুড়ি রোগী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে শুক্রবার রাতে তার শাশুড়ি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ভোরে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। সকালে ডাক্তার দেখে ভর্তি হওয়ার জন্য লিখেছেন। তার স্বামী আবু হানিফ তার মাকে ভর্তি করার জন্য দৌড়াদৌড়ি করছেন।

এ ব্লকের চারতলায় ডেন্টাল ইউনিটে আগত গৃহবধূ সুফিয়া বেগম জানান, ঈদের দিন থেকে দাঁতের ব্যথায় ভুগছেন। ঈদের ছুটি থাকায় গত দু’দিন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও ডাক্তার খুঁজে পাননি। আজ সকালেই এসে টিকিট কেটে ডাক্তার দেখিয়েছেন। দাঁতে ইনফেকশন হয়েছে মন্তব্য করে ডাক্তার সাতদিনের অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথা ও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দিয়েছেন।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বারডেম হাসপাতালের আউটডোরেও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রোগীর উপস্থিতি ছিল অনেক কম। তবে আগামী ২-১ দিনের মধ্যে হাসপাতালগুলো আগের চেহারায় ফিরে আসবে বলে মনে করছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

এমইউ/এনডিএস/এমকেএইচ

Advertisement