প্রবাস

ঈদের ছুটিতে কুয়েতের সমুদ্রের তীরে প্রবাসীদের ভিড়

এক মাস সিয়াম সাধনার পর পালিত হয় পবিত্র ঈদুর ফিতর। তবে প্রবাসীরা নিজ দেশে পালন করতে পারেন না ঈদ। হাজার হাজার মাইল দূরে থেকে প্রবাসেই তাদের ঈদ পালন করতে হয়। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও ঈদ ও বিশেষ দিনগুলোতে তারা ঘুরতে বের হন পার্ক, সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাতে করে অন্তত কিছুটা সময়ের জন্য হলেও দেশে পরিবার-পরিজনদের বিশেষ দিনে না পাওয়ার বেদনা ভুল থাকতে পারেন।

Advertisement

ব্যতিক্রম হয়নি কুয়েতপ্রবাসীদের ক্ষেত্রেও। কুয়েতে আবর সাগরের ওপর নতুন নির্মিত ৪৮.৫৩ কিলোমিটারের দৃষ্টিনন্দন শেখ জাবের কসওয়ে ব্রিজ, সালমিয়া বিচ, সালুয়া প্লাম জুমেরা বিচে ভিড় জমান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যারা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিতে কাজ করেন তারা পেয়েছেন চার দিনের লম্বা ছুটি। অলস সময় টুকু বন্ধু ও পরিচিত জনদের সঙ্গে আড্ডায় কাটাচ্ছেন তারা। সারাদিনে ৪০ ডিগ্রি থেকে শুরু হয়ে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে আসে গরমের তাপমাত্রা, বিকেলে সূর্য যখন পশ্চিম দিকে হেলতে শুরু করে তখন কমতে থাকে গরমের তেজ আর প্রবাসীরা নিজের গাড়ি অথবা ভাড়া করা গাড়িতে করে ছুটে যান সমুদ্রের পাড়ে।

অনেকে শরীর ও মন শীতল করতে বন্ধুদের নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন সমুদ্রের বুকে। বল নিয়ে খেলাধুলায় মেতে ওঠেন তারা। এদের কাউকে দেখা যায়, দেশে প্রিয়জনদের সঙ্গে ভিড়িও কলে কথা বলতে আবার কেউবা সেলফি আর ফেসবুকে লাইভে এসে আনন্দঘন মুহূর্ত ভাগাভাগি করে নিতে মত্ত। চার দেয়ালের বন্দী থাকতে থাকতে ছোটছোট প্রবাসী ছেলেমেয়েদের মাঝে একঘেয়েমিতা চলে আসে। ঈদের আনন্দে প্রাকৃতিক পরিবেশে এসে তাদের পাখির মতো উড়ে বেড়াতে দেখা যায়।

সিলেট থেকে আসা মিজানুর রহমান বলেন, কাজের ব্যস্তার কারণে সময় পাই না। এখন ঈদের লম্বা ছুটি থাকাতে বন্ধুদের নিয়ে সমুদ্র পাড়ে ঘুরতে এসেছি। অনেক মজা করলাম।

Advertisement

তিনি বলেন, ছুটি বা অবসরে রুমে ঘুমিয়ে বা একা একা বসে থাকতে মন খারাপ হয়ে যায়, মনের মধ্যে নানা চিন্তা আসে। শরীর ও মন ভালো রাখতে হলে ঘুরাফেরার বিকল্প নেই।

এসআর/পিআর