দেশজুড়ে

ঈদের ছুটিতে সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটক

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদভারে মুখরিত। একদিকে সমুদ্রসৈকত অন্যদিকে সবুজ পাহাড়, প্রকৃতির কি অনাবিল সুন্দরের হাতছানি। ঈদের টানা ছুটিতে পুরো পর্যটন শহর কক্সবাজারকে মাতিয়ে তুলেছে দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নানা প্রান্তের কয়েক লাখ মানুষ। পর্যটকদের সেবা দিয়ে বছরের মৌসুমি আয় ঘরে তুলতে হোটেল-মোটেল জোনে হোটেল মালিকরা অপেক্ষায় আছেন।

Advertisement

শুধু কক্সবাজার সৈকত নয়, সৈকতের আশপাশে যেসব পর্যটন কেন্দ্রগুলো আছে অর্থাৎ হিমছড়ি, ইনানীসহ আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি ব্যস্ততম বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈদ আনন্দ ও উৎসবে মেতেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ঈদের টানা ছুটিতে সাগর তীরে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। চারদিকে পর্যটক। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মাঝেও বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা ভ্রমণপিপাসুরা। সাগর উত্তাল, তাই সৈকতের সবকটি পয়েন্টে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। তবে সৈকতে গোসল করার ক্ষেত্রে পর্যটকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ছেন কক্সবাজার সি-সেইভ লাইফ গার্ড ইনচার্জ কামরুল হাসান।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, পর্যটকদের হয়রানি রোধে ও নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ছাড়া পর্যটকরা ঘুরছেন ইনানী, হিমছড়ি, দরিয়ানগর ও মেরিন ড্রাইভ সড়কে। তাই ওসব পর্যটন স্পটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

Advertisement

এদিকে, এবার ঈদে পর্যটক বরণে এখানকার প্রায় চারশো হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজকে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে। শুধু কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতই নয়, রামুর বৌদ্ধবিহার, হিমছড়ি, ইনানী, মহেশখালী, সোনাদিয়া ও ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

এএম/পিআর