স্কুলটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও গত ১০ বছর ধরে বিনা বেতনে চাকরি করেছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ভুষণ নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষক। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। তবে থেমে নেই তাদের পাঠদান। জেএসসি ও এসএসসিতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে এই বিদ্যালয় থেকে। অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে স্কুলের নিজস্ব ৫১ শতক জমি। ৫টি শ্রেণি কক্ষ ও ১টি অফিস কক্ষ। রয়েছে খেলাধুলার মাঠ। কিন্তু ১০ বছরেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় স্কুলের শিক্ষকরা বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। এছাড়া একজন অফিস সহকারী, একজন পিয়ন ও একজন আয়ার একই অবস্থা বিরাজ করছে। বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জাগো নিউজকে জানান, তারা দীর্ঘ ১০ বছর ধরে স্কুলে পাঠদান করে যাচ্ছেন। ছাত্রীরা রেজাল্টও ভাল করছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ২ শতাধিক ছাত্রী রয়েছে। কিন্তু এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তারা বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাবন করছেন। ঈদ পূজার সময়েও তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান লেন্টু জাগো নিউজকে জানান, তাদের স্কুলের অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি হয়েছে অনেক আগে। এখন মাধ্যমিক পর্যায়ের অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিন্তু এমপিওভুক্ত না হওয়ায় দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ৭ জন শিক্ষক, একজন অফিস সহকারী, একজন পিয়ন, একজন আয়া মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তিনি আরো জানান, এমপিওভুক্তির ব্যাপারে ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুল আজীম আনার খুবই আন্তরিক। তিনি আশা করেন সরকারিভাবে স্কুলের এমপিও ছাড়লে আমাদের স্কুল এ সুবিধা পাবে এবং শিক্ষক কর্মচারীদের মানবেতর জীবন যাবনের অবসান ঘটবে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অমিত সেন জাগো নিউজকে জানান, এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এমনটি হচ্ছে। এটি একটি জাতীয় সমস্যা। সরকারিভাবে এমপিও ছাড়লে এই স্কুলটি অবশ্যই এমপিওভুক্ত হবে এবং আমরা সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছি। এসএস/পিআর
Advertisement