রাজধানীসহ সারাদেশেই ১ জুন থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। ঈদের দিনও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারও হয়েছে বৃষ্টি। এ বৃষ্টিতে প্রকৃতি যেন অপরূপ সাজে সেজেছে।
Advertisement
এর ছোঁয়া লেগেছে রাজধানীর হাতিরঝিলেও। বৃষ্টিতে গাছ, পাতা, ঘাস ও লতাপাতায় লেগে থাকা সব ধুলা ধুয়ে মুছে এগুলোকে করেছে আরও গাঢ় সবুজ ও সতেজ।
শুধু তাই নয়, হাতিরঝিলের চারপাশের গাছপালায় হলুদ, লাল, গোলাপি, সাদাসহ বাহারি রঙের ফুল ফুটেছে। কৃষ্ণচূড়া, বকুল, ঘাসফুলসহ নাম না জানা অসংখ্য ফুলও ছেয়ে গেছে হাতিরঝিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হাতিরঝিলে গিয়ে দেখা যায়, ঈদে রাজধানীতে থেকে যাওয়াদের একটা অংশ হাতিরঝিলে ছুটে এসেছেন। হাতিরঝিলের চারপাশজুড়েই রয়েছে ঘুরতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। শিশু, তরুণ-তরুণী, মধ্য বয়স্ক ও বৃদ্ধ– সব বয়সী মানুষেরই দেখা মিলল এখানে। বৃষ্টিতে হাতিরঝিলের প্রকৃতির ধারণ করা স্নিগ্ধ রূপে সবার চোখে-মুখেও দেখা যায় প্রশান্তির ছাপ।
Advertisement
এমন মনোরম পরিবেশে কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কেউবা বসে প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। কয়েকজন ছেলেকে দেখা যায় ক্রিকেট খেলতেও। আবার কাউকে ঘুড়ি কিনে তা উড়াতেও দেখা গেছে। অনেকে ছোট বোটে করে হাতিরঝিলের পানিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঝিলের পানিতে পড়ন্ত বিকেলের লালচে সূর্যও দেখছেন কেউ কেউ।
মা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন মিলিয়ে পরিবারের মোট ১১ জন সদস্য নিয়ে হাতিরঝিলে ঘুরছিলেন কবির বকুল। রাজধানীর মুগদা থেকে আসা কবির বকুলের বক্তব্য, ‘এখানকার আজকের প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই সুন্দর।’
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় গ্রামের বাড়ি কবির বকুলের। ঈদুল ফিতর ঢাকায় করলেও ঈদুল আজহা গ্রামের বাড়িতে করার ইচ্ছা তাদের। রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা কবির বলেন, ‘ঈদের দিন বৃষ্টির জন্য বের হতে পারিনি। তাই আজকে (বৃহস্পতিবার) পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাতিরঝিলে এসেছি। সন্ধ্যা ৬টার দিকে চলে যাব।’
প্রাকৃতিক পরিবেশে মুগ্ধ হলেও হাতিরঝিলের পানি নিয়ে রয়েছে কবিরের অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘হাতিরঝিলের নৌকায় ওঠার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু পানি ময়লা ও দুর্গন্ধ। তাই উঠব না। ভাবছি, চক্রাকার বাসে করে সবাইকে নিয়ে এক চক্কর দেব।’
Advertisement
পিডি/এনডিএস/পিআর