আন্তর্জাতিক

‘চরিত্রহীন ছিলেন সম্রাট আকবর, রাতের আঁধারে খুঁজতেন নারী’

মুঘল সম্রাট আকবর সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক নেতা। মদন লাল সাইনি নামের বিজেপির ওই নেতার দাবি, হুমায়ুনের পূত্র তৃতীয় মুঘল সম্রাট জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ আকবর একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি ছিলেন।

Advertisement

মদন লাল সাইনি রাজস্থানের বিজেপি প্রধান। গত বছরের শেষের দিকে ওই রাজ্যের ক্ষমতা হাত ছাড়া হয়ে যায় বিজেপির। যদিও মাস খানেকের ব্যবধানে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির উত্থান ঘটে। ক্ষমতায় থেকেও লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় কংগ্রেস শিবিরেও কলহ রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে আকবর সম্পর্কে রাজস্থানের বিজেপি এই প্রধানের মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। তিনি বলেছেন, সম্রাট আকবর অত্যন্ত খারাপ মানুষ ছিলেন। তিনি রাতের অন্ধকারে ছদ্মবেশে নারীদের খুঁজতে বের হতেন।

আরও পড়ুন : মদ্যপ বিমানসেবিকাকে ফ্ল্যাটে নিয়ে গণধর্ষণ

Advertisement

সম্রাট আকবরকে চরিত্রহীন প্রমাণ করার জন্য আরও তথ্য তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতা মদন লাল। তিনি বলেন, চরিত্রহীন আকবর নিত্যদিন মীনা বাজার এলাকায় যেতেন নারীদের ধরে আনার জন্য। বিকানেরের কীরন দেবী ছদ্মবেশি আকবরকে চিনে ফেলেন এবং তার ওপরে চড়াও হন। যোদ্ধা কীরণ দেবীর কাছে পরাস্ত হয়েই সম্রাট আকবর নারীদের খোঁজে মীনা বাজারে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন মদন।

রাজস্থানের বিজেপির এই নেতা আরো দাবি করেছেন যে, সেই ঘটনার পর থেকেই মীনা বাজার চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়।

ভারতীয় একটি দৈনিক বলছে, মহারাণা প্রতাপ জয়ন্তী সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আকবর সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মদন। দুই সম্রাটের মধ্যে তুলনা টানতে গিয়ে আকবরকে চরিত্রহীন প্রমাণের চেষ্টা করেন তিনি। তার কথায়, চরিত্রহীন আকবরের সঙ্গে মহারাণা প্রতাপের কোনো তুলনা করা যায় না।

আরও পড়ুন : ‘৫৯০ কেজি গাঁজা হারিয়েছেন? ভয় পাবেন না, যোগাযোগ করুন’

Advertisement

কোন ইতিহাস বই থেকে মুঘল সম্রাটদের সম্পর্কে এই ধরণের তথ্য পেয়েছেন মদন লাল সাইনি? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ করছে একাধিক দল। রাজস্থানের মদনের মুখে এ ধরনের বক্তব্য নতুন কিছু নয়। গত বছরের জুলাইয়েও মুঘল আমল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে বিতর্কের থেকে বেশি কৌতুক হয়েছিল।

এসআইএস/পিআর