জাতীয়

জাতীয় জাদুঘর বন্ধ, চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড়

রাজধানীর মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। এদিকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর বন্ধ থাকায় বিনোদনপ্রেমী মানুষ ফিরে যাচ্ছেন। ঈদের দিনে বৃষ্টির হানায় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী ছিল না বললেই চলে। তবে, সে তুলনায় ঈদের পরদিন সকাল থেকেই মানুষের চাপ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

Advertisement

বাড়তি বিনোদনের আশায় সকাল থেকেই প্রিয়জনদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছেন বিনোদনপ্রেমীরা। তবে প্রচণ্ড গরমে সবাই ভীষণ ক্লান্ত। গরম আর বাড়তি মানুষের চাপে খাঁচায় বন্দি প্রাণীদেরও হাঁসফাঁস অবস্থার সৃষ্টি হয়। প্রবেশের পর এদিক-সেদিক ঘুরে কেউ গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছেন, কেউ পিপাসা মেটাতে পানির ট্যাংকির কাছে ভিড় জমিয়েছেন। অনেকে আবার ছাউনির নিচে বসে বাড়ি থেকে আনা খাবার খাচ্ছেন।

দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা বানর, ভাল্লুক, বাঘ, সিংহ, হাতি, জিরাফ, জেব্রা, হরিণ, সাদা হিংস, উটসহ বেশ কয়েকটি সেডের সামনে ভিড় জমায়। তাদের কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেডের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করে প্রাণীদের খাবার দিচ্ছেন। একজনকে নামতে দেখে অন্যরাও নেমে যাচ্ছেন। যেন কেউ দেখার নেই।

কিছু দর্শনার্থী চিড়িয়াখানার নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিড়িয়াখানায় নতুন প্রাণী বাড়ানো হচ্ছে। তবে, যেগুলো আছে তার অনেক প্রাণীকেই রোগা ও ক্ষুধার্ত বলে মনে হয়। বাইর থেকে কেউ কিছু ছুঁড়ে দিলে ক্ষুধার্ত প্রাণীরা দৌড়ে এসে খাচ্ছে। আরও খাবারের জন্য তাকিয়ে থাকে। ঝুঁকি নিয়ে কেউ খাঁচার কাছে গেলেও বাধা দেয়ার কেউ নেই।

Advertisement

তারা আরও বলেন, চারপাশে হকার ঘুরাফেরা করছে। তাদের খাবারের দাম বেশি। বেশি দাম দিতে না চাইলে দর্শনার্থীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করছেন। কেউ তাদের বাধা দিচ্ছে না। তাদের অভিযোগ, চিড়িয়াখানার স্টাফদের সহায়তায় হকাররা এমনটা করছেন।

এ সব বিষয়ে চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষের একজন জাগো নিউজকে বলেন, অন্যান্য ঈদের চাইতে এবার প্রস্তুতি অনেক ভালো। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভেতরে অনেকগুলো মনিটরিং টিম কাজ করছে। প্রায় দেড়শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ১৫ কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া মাইকে নিয়ম-শৃঙ্খলার বিষয়ে ঘোষণা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আজ আকাশের অবস্থা ভালো হলে ঈদের পরদিন হিসেবে প্রায় লাখের কাছাকাছি দর্শনার্থীর আগমন ঘটতে পারে। এতো মানুষকে ঠিকমত নজরদারি করা সম্ভব হয় না। মানুষ যদি সচেতন না হয় তবে শৃঙ্খলা বজায় থাকে না। এ কারণে অনেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে প্রবেশ করছে। দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এমন পরিস্থিতি দেখলে তাদের সরিয়ে দিচ্ছেন। তবে, হকারের বিষয়টি অসত্য বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে ঈদুল ফিতরের পরের দিন বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী জাতীয় জাদুঘরে ভিড় করেছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে এটা অনেকের জানাই ছিল না। বাধ্য হয়ে অনেকে ফিরে যাচ্ছেন।

Advertisement

এফএইচ/জেএইচ/পিআর