বরিশালের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ এবং জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার মানুষ প্রধান জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
Advertisement
মাওলানা নুরুর রহমান বেগ ঈদের প্রধান জামাত পরিচালনা করেন। নামাজের আগে ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য নিয়ে বয়ান করেন মাওলানা নুরুর রহমান বেগ। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে ঈদগাহ ময়দানে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল থেকেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার জন্য সব বয়সী মানুষের ঢল নামে। সারিবদ্ধভাবে মুসল্লিরা ঈদগাহে প্রবেশ করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের জামাত উপলক্ষে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এদিকে বরিশালে সকালের দিকে বৃষ্টি হলেও নামাজের সময় ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া। কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
Advertisement
বরাবরের মতো এবারও বরিশাল বিভাগের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরিফ ময়দানে সকাল সাড়ে ৯টায়। চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মু. রেজাউল করিম এখানে ঈদের জামাত পরিচালনা করেন।
বিভাগের দ্বিতীয় বৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় পিরোজপুরের ছারছিনা দরবার শরিফ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়।
এছাড়া ঝালকাঠীর নেছারাবাদ সালেহিয়া (এনএইচ) কামিল মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়, পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ উপজেলার হযরত ইয়ারউদ্দিন খলিফা (রা.) দরবার শরীফে সকাল সাড়ে ৭টায়, বরিশালের উজিরপুরের গুঠিয়ার বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্স ও ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সাইফ আমিন/এফএ/পিআর
Advertisement