আজ (৪ জুন) সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল, বুধবার (৫ জুন) পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে।
Advertisement
এদিকে বুধবারই ঈদ হবে এমনটা ধরে নিয়েই নাড়ির টানে যথাসময়ে বাড়িতে পৌঁছাতে আজ (মঙ্গলবার) কাকডাকা ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন বাস, লঞ্চ ও ট্রেন ষ্টেশনে ঘর ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বিরূপ আবহাওয়া ও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ঈদ আনন্দযাত্রায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লাখো যাত্রীর।
বিরূপ আবহাওয়ার কারণে আজ সকালে সদরঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকে। হাজার হাজার যাত্রী লঞ্চে উঠে অপেক্ষা করতে থাকে। বিশেষ করে লঞ্চের ডেকে ওঠা যাত্রীরা কাকভেজা হন। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের কারণে সদরঘাট টার্মিনালের প্রবেশদ্বার কয়েকদফা বন্ধ রাখা হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার দোহাই দেয়া হলেও অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানোর জন্য মালিকরা লঞ্চ ছাড়ছেন না। অনেক যাত্রী গভীর রাত থেকে লঞ্চে উঠে অপেক্ষা করছেন।
Advertisement
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (সদরঘাট) কায়সারুল ইসলাম বেলা ১১টায় জানান, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সকালে লঞ্চ চলাচল ঘণ্টা দেড়েক বন্ধ ছিল। তবে এখন আবার লঞ্চ ছাড়তে শুরু করেছে।
অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে তিনি বলেন, সবাই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যেতে চাইছেন। তিনি দাবি করেন টার্মিনালে দায়িত্বরত মনিটরিং টিমের সদস্যরা অতিরিক্ত যাত্রী বহন ঠেকাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।
এদিকে ঢাকা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপের কারণে পথেপথে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। টাঙ্গাইল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যানজটে থমকে আছে যান চলাচল। এতে বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন বাহনে যাত্রীরা বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। জানা গেছে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণে ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে কমলাপুর রেল ষ্টেশনে আজ সকাল থেকে উত্তরবঙ্গগামী ৫টি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। ষ্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক জানান, যাত্রী ওঠানামায় বিলম্ব ও অতিরিক্ত সময় দেয়ায় কয়েকটি ট্রেনের বিলম্ব হচ্ছে। যে ট্রেনগুলোর শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে সেগুলো হলো- ধুমকেতু, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, নীলসাগর, রংপুর ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেস।
Advertisement
এদিকে মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনালেও ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। গতকাল (৩ জুন) সরকারি অফিস ও গার্মেন্টস ছুটি হওয়ায় আজ শেষ দিনে গতকালের চেয়েও বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, ভিড় থাকায় অধিকাংশ বাসেই বেশি ভাড়া হাঁকা হচ্ছে। তবে ঈদের খুশিতে বেশি ভাড়া দিয়ে হলেও বাড়ি ফিরছেন সবাই।
এমইউ/এমএমজেড/পিআর