জাতীয়

সুমনের লাইভে কমলাপুর রেললাইনের ঘাস পরিষ্কার

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন কমলাপুর। সারা বছরই এ রেলওয়ে স্টেশনটিতে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও প্রতি ঈদের সময় তা আরও বেড়ে যায়। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এবারও ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিন্তু হাজারো মানুষের সমাগম ঘটলেও স্টেশনটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে মন ছিল না কর্তৃপক্ষের। স্ত্রী-সন্তানকে ট্রেনে তুলে দিতে এসে বিষয়টি নজরে আসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের।

Advertisement

এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেল লাইনের উপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে সোমবার (৩ জুন) ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি আমার পরিবারকে বিদায় দিতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়েছিলাম। দেখি, স্টেশনের সামনের রেল লাইনগুলো ঘাসে ছেয়ে গেছে। ঘাসগুলো এক ফুট লম্বা হয়ে আছে। আমরা তো বছরে একবারই কমলাপুর স্টেশনে যাই। মূল রেলওয়ে স্টেশনকেই আমরা যদি পরিচ্ছন্ন না রাখতে পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমার লাইভের পর মন্ত্রী ৫৭ জন লোক দিয়ে একদিনেই সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। প্রায় ১০ একরের মতো জায়গা পরিষ্কার করা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার লাইভে এসে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এ জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেল স্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। কিছু লোক দিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেতো। সুন্দর করতে অসুবিধা কি! আমরা কি পুরোপুরি সৌন্দর্য ভুলে গেছি। ট্রেনে ওঠার পরে অনেকে মনে করেন ট্রেনে যে উঠতে পেরেছি, এটাই অনেক বেশি। মেইন স্টেশনটাই যদি দেখতে সুন্দর না হয়, তাহলে ট্রেনের প্রতি মানুষের আগ্রহ কীভাবে বাড়বে?’

লাইভে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনকে ঘাসগুলো কাটার জন্য নির্দেশ দেয়ার অনুরোধ জানান ব্যারিস্টার সুমন। তিনি বলেন, ‘আপনি (মন্ত্রী) একটু বলে দিলেই ঘাসগুলো কেটে দেবে। রেল স্টেশনের সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যাবে। এক হাত লম্বা ঘাস নিয়েই মন্ত্রণালয় রেল চালাচ্ছেন। ট্রেনের সিডিউল নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই আমার। খুব বেশি সময় হেরফের হচ্ছে না। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরপর ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। আন্ডারগ্রাইন্ড রেল দিয়ে পৃথিবীর কত রাষ্ট্র উন্নত হয়েছে। ব্রিটিশরা ট্রেন দিয়ে পুরো দেশ শাসন করে। ট্রেন দিয়ে।’

লাইভে আসার পরদিনই ওইসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করলে ওইদিনই রেলপথ মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছবিসহ তার কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্ট্যাটাস পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন ব্যারিস্টার সুমন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘ধন্যবাদ মাননীয় রেলমন্ত্রীকে। আমার ফেসবুক লাইভ আমলে নিয়ে কমলাপুর রেল স্টেশনের সৌন্দর্য বর্ধনে ঘাস কাটা শুরু করার জন্য। সব স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’

পিডি/এনডিএস/পিআর

Advertisement