একেই বলে পাকিস্তান। কখন কি করে বসবে, তারা নিজেরাও জানে না। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর এই পাকিস্তান নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। ১০৫ রানে অলআউট হলে সমালোচনা তো সইবার কথাই।
Advertisement
কিন্তু সমালোচনায় একটি দল কতটুকুই বা বদলাতে পারে? পাকিস্তানকে না দেখলে কারও বিশ্বাস হওয়ার কথা নয়। প্রথম ম্যাচে ১০৫ এবং ঠিক দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান শক্তিশালী স্বাগতিক ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড় করিয়ে দিলো ৩৪৯ রানের বিশাল এক লক্ষ্য।
নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজের উইকেট হচ্ছে রান প্রসবীনি। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছিল, ইংল্যান্ড হয়তো পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫০০ রানের রেকর্ডটা গড়ে ফেলে কি না। কারণ, এই মাঠেই তো ৪৮১ রানের রেকর্ড গড়েছিল তারা।
কিন্তু টস জিতে ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালেন পাকিস্তানকে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৮ রান করলো পাকিস্তান। কেউ সেঞ্চুরি করেননি। তবে মোহাম্মদ হাফিজ, সরফরাজ আহমেদ, বাবর আজমদের বড় বড় হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে রান পাহাড়ে চড়লো পাকিস্তানিরা।
Advertisement
শুরুতেই ঝড় তুলেছিলেন দুই ওপেনার ফাখর জামান এবং ইমাম-উল হক। ৮২ রানের জুটি গড়ার পর তাদের বিচ্ছিন্ন করেন মঈন আলি। ৩৬ রান করে আউট হন ফাখর। ৪৪ রান করেন ইমাম-উল হক। এরপর বাবর আজম এবং মোহাম্মদ হাফিজ মিলে পাকিস্তানের রান ২০০’র কাছাকাছি নিয়ে যান।
১৯৯ রানের মাথায় ৬৬ বলে ৬৩ রান করে বিদায় নেন বাবর আজম। বুড়ো হাঁড়ের ভেলকি দেখিয়ে ৬২ বলে ৮৪ রান করেন মোহাম্মদ হাফিজ। ৮টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। ৪৪ বলে ৫৫ রান করেন সরফরাজ আহমেদ।
এছাড়া আসিফ আলি ১৪, শেষ দিকে হাসান আলি ৫ বলে ১০ এবং সাদাব খান ৪ বলে ১০ রান করলে পাকিস্তানের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় সাগে তিনশো ছুঁই ছুঁই। ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিস ওকস এবং মঈন আলি নেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট নেন মার্ক উড। আলোচিত জোফরা আর্চারকে কোনো উইকেট তো পাকিস্তানিরা দিলই না, উল্টো ১০ ওভার থেকে তারা নিয়েছে ৭৯ রান।
আইএইচএস/পিআর
Advertisement